ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ড: পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৩৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা গ্রামে রওজা হাইটেক’র লাক্সারি ফ্যান কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে  ১০ জন নিহতের কারণ হিসেবে নিয়মকানুন না মেনে চলাকে দায়ী করছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। 

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কারখানার সামনে শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা ভিড় জমাতে থাকেন। 

এ সময় শ্রমিকরা জানান, ‘নিয়মকানুন না মেনে কারখানাটি চলমান থাকায় এত বেশি সংখ্যক লোকজনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আবাসিক এলাকায় ভবন নির্মাণ করে ফ্যান কারখানাটি পরিচালিত হয়। এতে ছাদে নির্মিত টিনশেডে প্রয়োজনীয় দরজা জানালা ছিল না। ফলে অগ্নিকাণ্ডের পর শ্রমিকরা বের হয়ে আসতে পারেনি।’

এদিকে, মর্মান্তিক এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে দুর্ঘটনানস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। 

জেলা প্রশাসক জানান, ‘নিহতদের প্রত্যেকের লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহতের স্বজনদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতি পূরণ দেয়া হবে।’

অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে হবে হাসপাতাল ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। 

নিহতদের মধ্যে ৫ জন ও আহত দু’জনের পরিচয় মিলেছে। নিহতরা তারা হলেন- রংপুরের মো. ফরিদুল ইসলাম (১৮), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মারতা এলাকার রাশেদ (২৫), মো. শামীম (২৬), কেশরিতা এলাকার খলিল (২২) ও উত্তম (২৫)।

আহত দুই শ্রমিক হলেন, কেশরিতা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন  ও জামুনা এলাকার আব্দুল মোতালেববের ছেলে মো. হাসান চিকিৎসাধীন আছেন। তারা শহীদ তাউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা গ্রামে রওজা হাইটেক’র লাক্সারি ফ্যান কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন শ্রমিক নিহত ও আরো দু’জন আহত হন। 

ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানার দ্বিতীয় তলার ছাদে তৈরি করা টিন শেডে ১৯ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। কারখানা মালিকের নাম মো. জাহিদ হাসান ঢালী বলে জানা গেছে। প্রাথমিক আলামত দেখে মনে হচ্ছে ১০ জনই ধোঁয়ায় শ্বাসসরুদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

এআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি