কক্সবাজারে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
প্রকাশিত : ২২:১৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ০৮:৫৬, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল হিমঘর
কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালীতে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোররাতে চকরিয়ায় দুই ডাকাত দলের মধ্যে এবং সন্ধ্যায় মহেশখালীতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়।
জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহেশখালীতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জয়নাল উদ্দিন ওরফে জয়নাল ডাকাত নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নুনাছড়ির পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল উদ্দিন কালারমারছড়ার নুনাছড়ি এলাকার মুর্শেদুল ইসলামের ছেলে।
কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে জয়নাল ডাকাতের লোকজন র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে এসব অস্ত্রসহ জয়নাল ডাকাতের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত জয়নাল ৭টি মামলার পলাতক আসামি। জয়নাল এলাকায় চিহ্নিত ডাকাত হিসেবে পরিচিত। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, চকরিয়ায় দুই ডাকাত দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামের আরেক ডাকাত নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের কালিয়ারগোদা পাহাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ সময় একটি দেশীয় বন্দুক ও তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দিবাগত রাতে সুরাজপুর-মানিকপুরের কালিয়ারগোদা পাহাড় এলাকায় দুই ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে বলে খবর পাই। আমি, পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমসহ থানার একদল পুলিশ অভিযানে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় উপকূলের চিহ্নিত ডাকাত আনোয়ার হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এনএস/
আরও পড়ুন