শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন
প্রকাশিত : ২০:৫০, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২০:৫২, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
ঠাকুরগাঁও জেলায় শুক্রবার বছরের সর্বোচ্চ শীতের তীব্রতা বিরাজ করেছে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মজীবী, শ্রমজীবী, দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষগুলোর দুর্ভোগও বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি। নিজেদের ভোগান্তির পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়ে বাড়তি দুঃচিন্তায় পড়েছেন তারা। শিশু-বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে।
শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ের দিনটি কেটেছে পুরোপুরি ঘন কূয়াশায় চাদরে ঢাকা আবহাওয়া। সাথে সাথে ঠান্ডা বাতাস আর মৃদু শৈত প্রবাহে খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। এদিন ছিল স্থানীয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ। ফলে কুয়াশাচ্ছন্ন কঠিন ঠান্ডা আবহাওয়ার মাঝে শত শত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা সকাল থেকে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দিনটি কাটিয়েছেন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে বৃদ্ধ শিশুসহ অনেকে ।
প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা করতে গবাদি পশুগুলোকে ঢেকে রাখা হচ্ছে চটের ছালা দিয়ে। অনেক বেলা অবদি হেডলাইট জ্বালিয়ে মহাসড়কে চলছে যানবাহন। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে বাড়ছে শীতে আক্রান্ত রোগী, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। তাদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও সেবিকাদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাহান নেওয়াজ শিশুদের সাবধানে রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এই এলাকার শীতকে দুর্যোগ উল্লেখ করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার কম্বল এবং নিজস্ব অর্থায়নে দুঃস্থদের মাঝে লেপ বিতরণ করা হয়েছে। শীত মোকাবেলায় কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন, শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে। শ্রমজীবি ও গরীব মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র প্রদানসহ চিবিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতিগুলো পূরণ করে শীত ও ঠান্ডার এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার প্রত্যাশা ঠাকুরগাঁওবাসীর।
কেআই/
আরও পড়ুন