ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন বিপর্যস্ত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৩৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আজ রোববার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এখানের তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সপ্তাহে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দু’দিন ছিল চুয়াডাঙ্গায়। আবহাওয়ার এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ এবং শিশু ও বৃদ্ধরা নাজেহাল হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে।

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। শীতল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের ভোগান্তি। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে এখানকার মানুষদেরকে। জেলার নিম্নআয়ের মানুষদের পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় লক্ষ্যণীয়।

যাত্রী কম হওয়ায় যাত্রীবাহী বাসগুলোও দেরিতে গন্তেব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার আভাস তুলে ধরে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, আজ রোববার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।  আজকের তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে সামান্য কমেছে। তবে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি একই রয়েছে। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ শীঘ্রই কেটে যেতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শামীম কবীর বলেন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদেরকে চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার কম্বল এসে পৌঁছেছে। গত কয়েকদিন ধরে জেলার চারটি উপজেলার ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। এই জেলায় প্রায় ১৮ লাখ মানুষের বসবাস। জেলায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগতভাবে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি