বাগেরহাটে চিত্রা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
প্রকাশিত : ১৭:৫০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
বাগেরহাটে চিতলমারীর উপজেলার চিত্রা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শাহিনুজ্জামানের নেতৃত্বে চিতলমারী বাজার সংলগ্ন নদীর তীরে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান খান, চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলমসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এই উচ্ছেদ অভিযানে মরা চিত্রা নদীর পারে অবস্থিত পাকা-আধা পাকা বিশটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
উচ্ছেদের সাথে সাথে এই নদীকে পুন খননও করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এর আগে সকাল ১০টায় বাগেরহাট শহরের দড়াটানা সেতুর নিচে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
দীর্ঘদিন পরে চিত্রা নদীর তীরের দখলদারদের উচ্ছেদ ও পুন খননে খুশি স্থানীয়রা। স্থানীয় রবিন শিকদার বলেন, দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিত্রা নদীর বেশিরভাগ অংশ অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছেন। অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ হলে চিতলমারীর জনগণের উপকার হবে। চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাথে প্রধান বাজারের নৌ যোগাযোগ সৃষ্টি হবে। যার ফলে কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম বলেন, চিত্রার তীরে উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সরকারি জমি দখল মুক্ত হবে। উচ্ছেদের পরে আর কেউ যাতে দখল না করতে পারে সেই দিকে আমাদের নজর থাকবে। বাজার সংলগ্ন নদীর তীরে আমাদের একটি সড়ক নির্মানেরও পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে নদী পথে লোকজন এসে সহজে বাজারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, চিত্রা নদীর পাড়ের প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গায় আমরা অভিযান পরিচালনা করব। এর মাধ্যমে ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, বাগেরহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চার হাজার ২‘শ একর জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান না হওয়ার ফলে বেশ কিছু জমি বেদখল রয়েছে। জেলার ছোট বড় ৩০টি নদী ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি এসব খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পুন খনন করা হবে বলে জানান তিনি।
কেআই/এসি
আরও পড়ুন