কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু
প্রকাশিত : ০৯:১৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ০৯:৫৬, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টা থেকে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এতে মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে আটটি ফেরি। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টা থেকে ঘাটে আকস্মিক ফেরি বন্ধ হওয়ায় যানবাহনের জটলা বাড়ছে। অ্যাম্বুলেন্স, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি, পণ্যবাহী যানবাহন, নৈশ কোচসহ সব মিলিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে কনকনে শীতের মধ্যে যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
জানা গেছে, কুয়াশার কারণে রাত পৌনে ১২টা থেকে এ রুটের সব ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এছাড়া মাঝ পদ্মায় আটকা পড়েছে তিনটি ফেরি।
নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে করে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশুদের।
বিআইডব্লিউটিসি ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় তিনটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে।
এছাড়াও নব্যতা সংকটও ফেরি বন্ধ রাখার আরেকটি কারণ। তবে বুধবার সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা, গত ১০ মাসে ড্রেজিং করেও সংকট মোকাবেলায় টিকে থাকতে পারছে না ড্রেজিং বিভাগ। লোহজং টার্নিং পয়েন্ট, বিকল্প চ্যানেল ও পুরাতন চ্যানেলের পলি ও বালু জমে নব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন