ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুক ছাড়াই এক হলো ১৮ জোড়া হাত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:২৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুক ছাড়াই এক হলো ১৮ জোড়া হাত

ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুক ছাড়াই এক হলো ১৮ জোড়া হাত

খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া ক্যাথলিক চার্চে যৌতুক ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে নয় জোড়া ছেলে মেয়ের বিয়ে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে খ্রিষ্টীয় রীতিনীতি অনুযায়ী এসব বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। রুহিয়া ক্যাথলিক চার্চের ধর্মজাযক ফাদার এ্যান্তনী সেন তাদের আংটি ও মালাবদলসহ অন্যান্য রিতি মেনেই তাদের বিয়ে দেন। 

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ছেলে-মেয়েরা হলেন- সদর উপজেলার ঢোলারহাট এলাকার জংলু মারিও দাসের ছেলে জীবন সেবাষ্টিয়ান দাস এবং কনে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর গ্রামের আকালু দাসের মেয়ে মানসি মনিকা দাস। পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার কালিকাগাও গ্রামের মন্টু দাসের ছেলে পলাশ দাস এবং কনে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মহেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে সনেকা রানী রায়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বদেশ্বরী গ্রামের গায়তান দাসের ছেলে রতন পিউস দাস এবং কনে আটোয়ারী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের প্রিয়নাথ দাসের মেয়ে স্বপ্না মার্টিনা দাস।

ঠাকুরগাওয়ের রুহিয়া মধুপুর গ্রামের অনিসেন্ট দাসের ছেলে রাফায়েল দাস এবং কনে সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মলানখুড়ি গ্রামের পিজুস দাসের মেয়ে বৃষ্টি আগষ্টিনা দাস। শিবরাম গ্রামের পুলিন চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রদীপ রায় এবং কনে বড় বালিয়া গ্রামের রিনো দাসের মেয়ে সাগরি শিশিরিয়া দাস। ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের পিতর দাসের ছেলে জয় দানিয়েল দাস এবং কনে ফকদনপুর গ্রামের সুশেন রায়ের মেয়ে সোহাগী রানী রায়। 

বালাবাড়ি গ্রামের বিজয় দাসের ছেলে রুবেল দাস এবং কনে মলানখুড়ি গ্রামের রতিন দাসের মেয়ে রিংকি ক্লারা দাস। কলিগ্রামের অনাথ বাউরির ছেলে রিগান বাউরি এবং কনে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বোধগাও গ্রামের মানুয়েল দাসের মেয়ে স্বপ্না সার্থা দাস। দিনাজপুর গোলামপাড়া গ্রামের ফান্সিস মুর্মুর ছেলে নির্মল জোসেফ মুর্মু কনে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ফকিরগঞ্জ বাজারের মারিও দাসের মেয়ে পুর্নিমা দাস।

ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। বিয়ে উপলক্ষে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দম্পতিরা মিনিবাস, মাইক্রোবাস আবার কেউবা অটোরিকশাযোগে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে রুহিয়া ক্যাথলিক চার্চে সমবেত হয়। প্রত্যেকের আত্বীয় স্বজন ও পরিবারের লোকজনও এসময় উপস্থিত হয়। এক কথায় আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি