বাসে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ১
প্রকাশিত : ১৭:১৮, ১১ জানুয়ারি ২০২০
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে একটি সিরামিক্স কারখানার নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বাস চালককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সিরামিক কারখানার শ্রমিক মমতা আক্তার (১৮) শুক্রবার ভোরে বাসে চড়ে কারখানায় যাচ্ছিলেন।
শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানা পুলিশ।
শনিবার সকালে অভিযুক্ত বাসচালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি জঙ্গলের মধ্যে থেকে নারী শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। আটক বাসচালক সোহেল (৩০) ফরিদপুর জেলার আমানত খানের ছেলে। সে ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাস চালাতো।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুশুরা ইউনিয়ণের কাঠালিয়া গ্রামের শাজাহান মিন্টুর মেয়ে মমতা আক্তার (১৮) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ডাউটিয়া এলাকায় প্রতীক সিরামিক্স কারখানায় কাজ করতো। প্রতিদিন ওই কারখানায় সকাল ৬টায় কাজে যোগ দিতে হতো তাকে। গতকাল (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মমতার মা জুলেখা বেগম তার মেয়েকে বাড়ির পাশ থেকেই একটি বাসে কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে উঠিয়ে দেন। কিন্তু সন্ধ্যার পরও মেয়ে মমতা আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও সন্ধান পাননি। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মমতার পরিবার। এরপর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশিরা রাতে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশদিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে সড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের একটি জঙ্গলে মমতার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
ধামরাই থানাধীন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা জানান, খবর পেয়ে রাতেই কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি জঙ্গল থেকে মমতা নামে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন তারা। এসময় লাশের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এছাড়া নিহতের নারীর পড়নের কামিজ ছেড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, থানায় জিডি হওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতেই আমরা হত্যাকারীসহ বাসটিকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক বাসচালকের মুখে হাতে ও গলায় মেয়ের নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। তবে ওই শ্রমিককে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে কি না বিষয়টি অধিকতর তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কেআই/
আরও পড়ুন