আবারও দু’টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার
প্রকাশিত : ১২:৫০, ১৬ জানুয়ারি ২০২০
খুলনা রেঞ্জের মধ্যে ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা নিষ্পত্তিতে আবারও প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)।
বুধবার দুপুরে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ডক্টর খ. মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার)।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বিপিএমসহ রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারবৃন্দ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা নিষ্পত্তিতে খুলনা রেঞ্জের ১০টি জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ। এর আগে ওই বছরের (২০১৯) মে মাসে ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা নিষ্পত্তিতে খুলনা রেঞ্জের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল নড়াইল জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এ সম্মাননা আমাকে আরও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দিয়েছে। সব সময় ভালো কাজের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, দক্ষতা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেও দুইবার ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ (পিপিএম) অর্জন করেছেন তিনি।
২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নড়াইলে অন্তত ১৭০টি এলাকায় গ্রাম্য বিরোধ নিরসন করে গ্রামে গ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি জেলা পুলিশ লাইন্সের পতিত জমিতে ধানসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষাবাদ করেছেন। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগিয়েছেন।
এদিকে পুলিশ লাইন্স পুকুর, ট্রাফিক অফিস পুকুর ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুকুরে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আবাদ করেছেন। এসব মাছ পুলিশ লাইন্স মেসের পুলিশ সদস্যরা বিনামূল্যে খেয়ে থাকেন।
এছাড়া পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে ৩০ বছরের নর্দমা পরিষ্কার করে ‘পুলিশ মৎস্য অ্যাকুরিয়াম’ প্রতিষ্ঠা করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এখানে বিল মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে।
একে//
আরও পড়ুন