ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দোহারে বন্ধের একদিন পর ফের বালু উত্তোলন শুরু

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৭:১৪, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

প্রশাসনের অভিযানে বন্ধের ঠিক একদিন পরই শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা সেতুর সামনে থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে বালুখেকোরা।

গত বুধবার অভিযান চালিয়ে লটাখোলা খালে বালু কাটা বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। ধ্বংস করা হয় একাধিক ড্রেজার ও পাইপ। কিন্তু এ ঘটনার ঠিক একদিন পরই শুক্রবার সকাল থেকে মহাসমারোহে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে স্থানটিতে।

সরেজমিন পরিদর্শনে বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, স্থানীয় সুজন, তোতা মাতবর, ইলিয়াস মোল্লা ও মো. আকতারসহ কয়েকজন ব্যক্তি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। 

শ্রমিকরা জানান, বিশেষ ব্যবস্থায় সবাইকে ম্যানেজ করেই ফের বালু কাটা শুরু করেছে তারা। সেই বিশেষ ব্যবস্থা কি জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে রাজি হননি। 

জানা যায়, প্রতিবছরই উপজেলা প্রশাসন ও থানা থেকে মাত্র ৫’শ গজ দূরে চর লটাখোলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর শাখা খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু তুলে বিক্রি করে আসছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও বালুখেকোরা তাতে কর্ণপাত করেনি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছরই এ স্থানে বালু কাটা নিয়ে চলে চোর-পুলিশ খেলা। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, ‘বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু আবার শুরু করেছে সেটা আমাদের জানা নেই। এবার বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, দোহারে পদ্মা বাঁধের বৃহৎ প্রকল্প চলছে। যে কারণে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন একেবারে বন্ধ করতে এ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমানের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু, তা অমান্য করেও বিভিন্ন স্থানে এখনো বালু উত্তোলন চলছে।

এআই/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি