বনগাঁর লজ থেকে বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ২০:৩৪, ১৭ জানুয়ারি ২০২০
ভারতের বনগাঁর একটি লজ থেকে উদ্ধার হল আসমা বেগম (৪০) নামে বাংলাদেশী এক নারীর মরদেহ। তাকে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার পর থেকে আসমার স্বামী নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ শহরের একটি লজে।
বনগাঁ থানার পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা গেছে, যশোর কোতয়ালি থানার হাসপাতাল এলাকার আবুল কাশেম, তার স্ত্রী আসমা বেগম ও আসমার খালা মনোয়ারা বেগম বুধবার বাংলাদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যায়। তাঁরা ভারতের বনগাঁ শহরের বাটার মোড়ের শ্যামাপ্রসাদ লজের তিন তলায় দু’টি ঘর ভাড়া নিয়েছিল পরিবারটি। একটি ঘরে আসমা এবং তার খালা মনোয়ারা ছিলেন। অন্য ঘরে কাশেম একা ছিলেন। লজের এক কর্মী বলেন, ওরা আগেও কয়েকবার এই লজে এসেছেন। দিনকয়েক কাটিয়ে চলেও গিয়েছেন।
হোটেলের কর্মচারীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে হোটেলের ঘর থেকে নীচে নামতে দেখেছেন। পরে তারা ঘরে উঠে যান। এরপরে কাশেম সকাল ৮টা নাগাদ হোটেল থেকে চাবি নিয়ে বেরিয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত কাশেম না ফেরায় কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এক কর্মচারী হোটেলের ঘরে গিয়ে দেখেন, কাশেমের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। কাঁচের জানালা দিয়ে তিনি দেখেন, আসমা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে ঢুকে দেখে আসমা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। গলায় ওড়নার ফাঁস। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আসমার স্বামী আবদুল কাশেম বৃহস্পতিবার সকালে পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
লজে থাকা মনোয়ারাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিষয়টি খুন না আত্মহত্যা, জানার চেষ্টা করছেন বনগাঁ থানার তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে কাশেম সন্দেহ করত। যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে অশান্তি ছিল। কেন তাঁরা ভারতে এসেছিলেন, কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, কার কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ।
আরকে//
আরও পড়ুন