বাগাতিপাড়ায় স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ: কনের বাবার জেল
প্রকাশিত : ২০:৪৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২০
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষ পেয়েছে নবম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন খাতুন। জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টায় কনের বাবা আব্দুল খালেককে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার বিকালে উপজেলার জামনগর ঘোষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন খাতুনের বিয়ে ঠিক করেন তার বাবা আব্দুল খালেক। বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার গাওপাড়া গ্রামে। শুক্রবার রান্না-বান্নাসহ বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বরযাত্রীরা বিয়ে বাড়ি হাজির হয়। কিন্তু বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রিয়াংকা দেবী পাল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে সাথে নিয়ে জামনগরে কনের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। সেখানে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি ধরা পড়লে জেসমিন খাতুনের বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এসময় কনের বাবা আব্দুল খালেককে আটক করেন এবং সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পালের আদালত আব্দুল খালেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন। পরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলে দন্ডিত আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরকে//
আরও পড়ুন