মৌলভীবাজারে স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে খুন করে আত্মহত্যা
প্রকাশিত : ১১:২২, ১৯ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৩:০৩, ১৯ জানুয়ারি ২০২০
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল চা বাগানে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নির্মল নামে ওই ব্যক্তি প্রথমে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাধা দিতে আসলে প্রথমে শাশুড়ি এবং পরে দুই প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে খুনি নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল নামে ওই যুবক চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘাতক ছাড়া চারজনই চা বাগানের শ্রমিক।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বড়লেখা থানার কর্তব্যরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রোকসানা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত খুনি নির্মল মাদকাসক্ত ছিলেন।’
হত্যার শিকার চারজন হলেন, নির্মলের স্ত্রী জলি, শাশুড়ি লক্ষ্মী, প্রতিবেশী বসন্ত ও বসন্তের মেয়ে শিউলি।
চা বাগানের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। বছর খানিক আগে ডলির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই থেকে আসছিলেন।’
প্রতিবেশীরা জানান, ভোর ৫টার দিকে নির্মল ও ডলির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ডলিকে মারধর করতে থাকলে ডলি দৌড়ে অন্য ঘরে বাবা মায়ের কাছে চলে আসে। তখন নির্মল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডলিকে কোপাতে থাকে।
মেয়েকে রক্ষা করতে শাশুড়ি ছুটে আসলে তাকেও কোপায় নির্মল। এরপর বসন্ত ও শিউলি সেখানে আসলে দু’জনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে চারজনের মৃত্যু হলে নির্মল নিজের ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন নির্মল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ ও বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিনুল হক।
এআই/
আরও পড়ুন