ঠাণ্ডার প্রকোপে নাজেহাল লালমনিরহাটের জনজীবন
প্রকাশিত : ১৩:১৪, ২২ জানুয়ারি ২০২০
লালমনিরহাট জনপথের আজকের দৃশ্য। ছবি: একুশে টেলিভিশন
পৌষের শেষে মাঘ মাসের শুরুতেই ঠাণ্ডার প্রকোপ তীব্র থেতে তীব্রতর হয়েছে উত্তরাঞ্চলে। মাঘের ঠাণ্ডায় কাবু হয়েছে মানুষজন। ঠাণ্ডার দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটের জনজীবন।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
লালমনিরহাটে রাতভর টিপ টিপ বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ে, আর সকালটা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। দুপুরের আগে কুয়াশা কাটলেও দেখা মিলে না সুর্যের। দিনভর থাকে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষের কাছে ঠাণ্ডা হয়ে উঠেছে অসহনীয় এক যন্ত্রণা।
প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় শীতে কাঁপতে হচ্ছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমুল মানুষদের। বাধ্য হয়েই ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা মাঠে কাজ করছেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারছেন না ক্ষেতে। গ্রামের অনেকেই দিনভর খড়কুঠোর আগুন জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন।
সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চল, চর ও দুর্গত চরাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি সরকারি ত্রাণের কম্বল। তবে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছেন, মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে, তাই সরকারি কম্বলের জন্য তাদের মাঝে হাহাকার নেই। কিন্তু শীত বস্ত্র কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনেক শীতার্ত দুঃস্থরা এখনও তাকিয়ে আছেন সরকারি ত্রাণের দিকে।
এএইচ/
আরও পড়ুন