রাজশাহীর নবগঙ্গা ও সোনাকান্দি চর থেকে বালু তোলা নিষিদ্ধ
প্রকাশিত : ১৬:১৬, ২২ জানুয়ারি ২০২০
নবগঙ্গা চরে বালু তোলা নিষিদ্ধ করে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। ছবি: একুশে টেলিভিশন
রাজশাহীর হাইটেক পার্ক এলাকায় পদ্মা নদীর নবগঙ্গা ও সোনাকান্দি চর থেকে বালু তোলা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পবা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুটি চরে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
রজব আলী ও আনোয়ার হোসেন নামের দুইজন ব্যবসায়ী এই দুইটি বালুমহাল লিজ নিয়ে শর্ত ভেঙ্গে পদ্মার তীররক্ষা বাঁধের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এদের মধ্যে রজব আলী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আনোয়ার হোসেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আবুল হায়াত বলেন, নিয়ম ভেঙ্গে পদ্মা নদীর তীররক্ষা বাঁধের পাশ থেকে বালু তোলা হচ্ছিল। এতে হুমকির মুখে পড়ে ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মার তীররক্ষা বাঁধ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নবগঙ্গা ও সোনাইকান্দি চর থেকে বালু উত্তোলণ নিষিদ্ধ করে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে কেউ যদি বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ১৪ জানুয়ারি বিকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই বালুমহালের মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে ওই দুইটি এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার নির্দেশও দেন।
কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে তারা বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। আর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার খবর পেয়ে আগেই বালু উত্তোলনকারি লোকজন পালিয়ে যায়।
এএইচ/
আরও পড়ুন