ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে ভোগান্তিতে চরাঞ্চলবাসী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:২৯, ২২ জানুয়ারি ২০২০

কুড়িগ্রামে শীত আর হিম ঠান্ডার প্রকোপে বিপর্যস্ত চরাঞ্চলবাসী। শীতের কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিশু-বৃদ্ধরা। ঠান্ডায় গৃহপালিত পশু মারা যাওয়ায় বিপাকে চরের মানুষজন। দ্রব্যমূল্যের উদ্বর্ধগতিতে পুরাতন কাপড় দিয়ে চলছে শীত মোকাবেলা। আবার অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
 
দেশের উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রাম। হিমালয়ের কাছাকাছি দেশের উত্তরের এই জেলায় তুলনামূলকভাবে প্রতিবছরই শীতের প্রকোপ থাকে বেশি। বৃহত্তম ১৬টি নদ-নদীময় জেলাতে প্রায় ২৫লাখ মানুষের বসবাস। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ ৩১৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য নদী পথে ৫২০টি চর-দ্বীপচর প্রায় ৫লাখ মানুষ বসবাস করছে। প্রতিবছরই শীতসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয় চরাঞ্চলবাসী। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি শীতে। 

সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য গবাদি পশু পালন করলেও সেগুলোও ঠান্ডার কারণে মারা যাচ্ছে। বছরের অধিকাংশ সময়টাতে এই এলাকায় মানুষের হাতে তেমনটা কাজ কর্ম থাকেনা। শীতের সময় কম মজুরিতে শ্রম দিয়ে সংসার চালানোই দায়ভার সেখানে শীতবস্ত্র ক্রয় যেন অনেকটাই স্বপ্ন তাদের কাছে। তাই ঠান্ডাতে অনেকেই পুরাতন বস্ত্র ব্যবহার করছেন। সন্ধ্যা না পরপরই চরাঞ্চলে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ছেন। 

অপরদিকে খুব ভোরে উঠেই সকালের খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়ছেন কাজের সন্ধানে। পরিবারের মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধরা একটু উষ্ণতা পেতে রোদের খোঁজে বের হন। রোদের দেখা না পেলে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত পার করছেন। শীতে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণে জনপ্রতিনিধিদের স্বজনপ্রীতি অভিযোগ চরবাসিদের। প্রতিবছরই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই শীতের হানায় বেশি দুর্ভোগে পড়েন চরাঞ্চলবাসী। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা না থাকায় শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হলে ভরসা স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার। কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবওহায়া ও পর্যবেক্ষণ অফিস জানায় আজ কুড়িগ্রামে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । 

যাত্রাপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, শীতে মানুষের দুর্ভোগের কথা। চরাঞ্চলের বৃহৎ জনগোষ্ঠির জন্য চাহিদা মতো শীতবস্ত্র পাওয়া যায় না। তাই সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান, ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে স্বল্পমূল্যে চরাঞ্চলের মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিক্রি করার সুযোগ তৈরি করলেও চরাঞ্চলবাসীসহ নিন্ম আয়ের মানুষের উপকারে আসবে। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৬৩হাজার শীতবস্ত্র এবং ১৫০০ শিশু পোষাক এছাড়াও দুই হাজার শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণে মনিটরিং করাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীতবস্ত্র বিতরণে সমন্বয় করে সেগুলা বিতরণ করা হচ্ছে।

কেআই/আরকে 
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি