সীতাকুণ্ডের সিসিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন
প্রকাশিত : ১৮:১৭, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৯:১২, ২৫ জানুয়ারি ২০২০
'এসো স্মৃতির অঙ্গণে, মিলি প্রীতির বন্ধনে' এই শ্লোগানে সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী চিটাগং ক্যামিকেল কমপ্লেক্স (সিসিসি) উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হয়েছে। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ করেছে স্কুলটি, এ উপলক্ষে নানাবিধ সাংস্কৃতিক আয়োজন আর নবীন-প্রবীণদের প্রাণের মেলায় মেতে ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বাড়বকুণ্ডস্থ সিসিসি স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে জমকালো আয়োজনে মুখরিত ছিল স্কুল প্রাঙ্গণ। সকালের ১ম পর্বে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে বর্নাঢ্য এক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কুল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
এরপর আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববাদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক লায়ন মো. গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ শামীম আল রাজী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব দিদারুল কবির, সিসিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার দে প্রমূখ।
প্রথম পর্ব শেষে বিকেলের ২য় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় গুণীজন সন্মাননা, স্মৃতিচারণ, র্যাফেল ড্র, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, বর্ণীল আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় মেতে উঠেন স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী আর শিক্ষকরা। অনুষ্ঠানে মিরাক্কেল খ্যাত আরমানের পরিবেশনা উপস্থিত হাজারো দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
উল্লেখ্য, সিসিসি উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে বিসিআইসি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রাথমিকভাবে পাঠদান শুরু করে। পরে ১৯৭২ সালে নিম্ন মাধ্যমিক এবং ১৯৭৫ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়। ১৯৭০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এটি বিসিআইসি কর্তৃক পরিচালিত হয়। ২০০৩ সালে সিসিসি (চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স) কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০০৪ সালের ১লা মে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়।
বিদ্যালয়টি ৩.৮৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি একটি দক্ষিণমুখী দ্বিতল ভবন। এছাড়া একটি টিনের আধাপাকা ঘর আছে। একটি প্রধান শিক্ষক কার্যালয়, একটি শিক্ষক মিলনায়তন, একটি অফিস সহকারীর কক্ষ, একটি ছাত্রী মিলনায়তন সহ সর্বমোট ২১টি কক্ষ রয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে।
বর্তমানে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে। প্রত্যেক বছর এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের পাশাপাশি খেলাধুলায় ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সাথে সুনাম অর্জন করে চলেছে। একসময় এ স্কুলের নাম ছিল বিআইডিসি উচ্চ বিদ্যালয়।
আরকে//
আরও পড়ুন