ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে স্কুলে ২ শিক্ষিকার ‘চুলাচুলি’

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:১০, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার সকালে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোল্ডগোয়ালী স্কুলে এ ঘটনায় আহত শিক্ষিকার নাম নুরজাহান আক্তার মিনু। তিনি পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র রবিউল ইসলাম রবির স্ত্রী। ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিও মেয়র রবি। অপর শিক্ষিকা সামসুন্নাহার রিনা মেয়রের বড় ভাইয়ের স্ত্রী।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাখী দেবী ভাদুড়ী বলেন, সহকারী শিক্ষিকা সামসুন্নাহার রিনা ও নুরজাহান আক্তার মিনু সম্পর্কে আপন জা। তাদের পারিবারিক বিরোধের জেরে স্কুলে এই দুই শিক্ষিকার মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হতো। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে টিফিন চলাকালীন সময় দুই শিক্ষিকার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও চুল ছিড়াছিড়ি হয়। এ সময় সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমি যে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সেটা মানতে চায় না তার ভাবি ও স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সামসুনাহার রিনা। তিনি স্কুলে একক প্রভাব খাটার চেষ্টা করেন। আমার স্ত্রীকে স্কুলে শারিরীক ও মানুষিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তিনি। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও আইনশৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার বলেছি। কিন্তু তারা কোনো সুরাহা করছেন না।

মেয়র রবি বলেন, তার স্ত্রী ৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। সকালের সামনে তার অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসকরা তার গর্ভের বাচ্চা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

এ বিষয়ে জানতে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সামসুন্নাহার রিনার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্কুলে শিক্ষিকার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুঠিয়া থানার ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, গন্ডোগোহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষিকার মধ্যে মারামারির ঘটনার থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু এ অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে সহকারি শিক্ষিকা শামসুন্নাহার রিনা ও তার স্বামীকে আসামি করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি