ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: থামছে না ভাঙন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৭:২৯, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আড়কান্দি-ঘাটাবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের উদ্যোগে যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ড্রেজার আগুন দিয়ে পুড়িয়েও রোধ করা যাচ্ছে না। দুই মাস পর সেখানে স্থানীয় একটি চক্র আবারও নদী থেকে জোর করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করায় নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়ে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে স্থানীয়দের মাঝে বেড়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এদিকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। 

জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার পুর্বাঞ্চল খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়ন যমুনার ভাঙ্গনে গত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই বিপর্যস্ত। উপরোন্ত অবৈধভাবে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করায় এ মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য এই অঞ্চলের মানুষের চরম ক্ষোভ ও অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধ ড্রেজারটি আগুন দিয়ে জ্বালীয়ে দেয়। এর ২ মাস যেতে না যেতেই স্থানীয় এলাকার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন মিলে আবারো সপ্তাহ খানেক ধরে এই ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেছে। 

এ কারণে এলাকাজুড়ে নদী তীরে ভাঙ্গন আরো তীব্রতর হচ্ছে। এলাকার মানুষ বারবার নিষেধ করলেও তারা মানছে না বলে জানিয়েছে। আড়কান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম, ইয়াসিন আলী, আবুল হোসেন জানান, আমরা নদী ভাঙ্গনে চরম ভাবে সমস্যায় আছি। আর তারা যমুনার বালু লুট করে করছে ব্যবসা।

রুপসীর বিএনপি নেতা স্বপনের ভাই লিটন ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে এই ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটছে। ভেবেছিলাম প্রশাসনের লোক এসে পুড়িয়ে দিয়েছে। আর এ কাজ কেউ করবে না। কিন্তু আবারো তারা শুরু করেছে। ইউএনও কেও আমরা জানিয়েছি, যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। 

বিষয়টি নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা জানান, আমাদের উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। শুনেছি কৌশলে আবারো আড়কান্দিতে ডেজ্রার চালানো হচ্ছে। দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেআই/আরকে 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি