পেকুয়ায় গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত
প্রকাশিত : ১৮:১৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
কক্সবাজারের পেকুয়ায় গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। স্থানীয় বসতবাড়িতে ডাকাতি ও প্রবাসী নুরুন নবী নামের এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জনতা গণপিটুনি দেয়। এতে পেকুয়া উপজেলার উত্তরের ঝুম এলাকার নাগু মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৩৫) ও নেজাম উদ্দিনের ছেলে মো. কাইছার (২৮) নিহত হয়। এসময় নুরুল ইসলামের ছেলে মো. নাসির (২৬) নামের আরো এক ডাকাত সদস্য গুরুত্বর আহত হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিলখালীর পাহাড়ি অঞ্চল সাপের ঘারা ও উত্তরের ঝুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ ছফি, ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিক, জয়নাল আবদীন ও আলী চাঁন জানিয়েছেন, প্রবাসী নুরুন নবীর বাড়িতে ডাকাতি ও তাকে হত্যার ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। এলাকাবাসী তা মেনে নিতে পারেনি। বুধবার সকালে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহাড়ী এলাকায় ডাকাতদলের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালায়। তিন ডাকাতকে স্থানীয়রা পাঁকড়াও করার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের উপর হামলার চেষ্টা করে ডাকাতরা। ওই সময় স্থানীয়দের গণপিটুনি শুরু হয়। এঘটনায় ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয় এবং আহত হয় একজন। পুলিশ সকাল ১১টার সময় নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এসময় আহত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
পেকুয়া থানার ওসি মো. কামরুল আজম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সাপেরঘারা এলাকায় প্রবাসী নুরুন নবীর বাড়িতে হানা দেয় একদল সশস্ত্র লোক। তাঁদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারায় মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক নুরুন নবী। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয় তাঁর ভাই মোজাম্মেল ও মা হাজেরা বেগম। আহতরা বেশ কয়েকজন হামলাকারীকে চেনে ফেলেন। তাঁদের দেয়া তথ্যমতে বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাপেরঘারা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পাঁচটি ঘর ঘেরাও করে। সেখান থেকে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জামাল উদ্দিন, মো. কাইছার ও নাসির হোসেনকে ধরে নিয়ে গণপিটুনী দেয় তাঁরা।
এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় জামাল উদ্দিন ও মো. কাইছার। অপর একজনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশের হেফাজতে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরকে//
আরও পড়ুন