মোংলায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি
প্রকাশিত : ২০:১৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২০:৩৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
একটু সাবধানে থাকিস, তোর পিছনে একটা কার্তুজ (গুলি) খরচ করবো, একটা গুলি, তোর আব্বা আমি এরপর অকথ্য ভাষায় .....গালিগালাজ! এভাবেই দৈনিক আমার সংবাদের মোংলা প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমানকে মোবাইলে হত্যার হুমকি দেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে আমার সংবাদের প্রতিনিধিকে মাদ্রাসা সুপার মো. অহিদুজ্জামান এ হুমকি দেয়। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে (১৫ ফেব্রুয়ারী) মোংলা থানায় জিডি (সাধারণ ডায়রী) করেছেন সাংবাদিক হাফিজুর। জিডি নং-মোংলা থানা/ ৫৭৬। বিষয়টি নিশ্চিত করে মোংলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিশ্বজিৎ মূখার্জী বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। আমরা এর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।
থানায় দায়ের হওয়া জিডির বিবরণে জানা যায়, দৈনিক আমার সংবাদের মোংলা প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান তার পৈতৃক ব্যবসা থেকে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে ২০ লাখ টাকা ধার দেন। এই পাওনা টাকার অনুকুলে সুপার অহিদুজ্জামান তার সোনালী ব্যাংক রামপাল শাখায় ৪৩৮৭৯ এর হিসাব (একাউন্ট) এর চেক নম্বর ৪০৯১৯৭৪ এ গত ২৯ জানুয়ারী ২০ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারী ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে ওই একাউন্টে যথেষ্ট পরিমান টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে। এ বিষয়ে আইনজীবির মাধ্যমে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান হাফিজুর।
এতে ক্ষীপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১১ টা ৩৬ মিনিটে আমার সংবাদের মোংলা প্রতিনিধি হাফিজুরকে তার মোবাইলে মাদ্রাসা সুপার মো. অহিদুজ্জামান অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে এবং তোর পিছনে একটা কার্টিজ (গুলি) খরচ করবো বলে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজুর বলেন, পাওনা টাকা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি, এটাতো আমার অপরাধ না, কিন্তু এ জন্য একজন মাদ্রাসার সুপার কিভাবে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। সে অস্ত্র কোথায় পেল? আমি এ ঘটনায় আমার পরিবার নিয়ে চরম শংকিত আছি।
ঘটনা সম্পর্কে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. অহিদুজ্জামানের কাছে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
আরকে//
আরও পড়ুন