ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানা ও জমি দখলের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২২:৪২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় এস বি নিট কম্পোজিট প্রতিষ্ঠান (কারখানা) ও ৭১ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারী রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন করে শাহনাজ পারভীন ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে এস বি নিট কম্পোজিট নামের ডাইং কারখানা ও সঞ্জনা আল আবেদীন ৭১ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ করেন জাহেদুল ইসলাম জনি ওরফে মোল্লা জনি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এর কিছুক্ষণ পরে সংবাদ সম্মেলনে জনি দাবি করেন কারখানাটি তিনি রুনু বেগমের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন। তবে জমি দখলের ব্যপারে কেউ কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।  

কারখানা দখলের অভিযোগ করে এস বি নিট কম্পোজিটের মালিক দাবিদার শাহনাজ পারভীন বলেন, আমার ৫ বছরের বৈধ চুক্তি থাকা সত্ত্বেও এ. আর. কম্পোজিট সত্ত্বাধিকারী মজিবর রহমান সোহেলের মৃত্যুর পর গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর মৃতের স্ত্রী রুনু বেগমের নির্দেশে আব্দুল মতিনের ছেলে মাহবুবুর রহমান (মামুন), হাজী তৈয়ব আলীর ছেলে জাহেদুর ইসলাম (জনি) ও আ. রশিদের ছেলে মাসুমের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী দল আমার গেহটের দারোয়ানকে মারধর করে ভেতরে প্রবেশ করে ডাইং দখল করে নেয়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় কোন প্রকার সংঘাতের আশ্রয় নেই নাই।
 
এমতাবস্থায় চুক্তি অনুযায়ী ডাইংটি পুনরায় দখলের জন্য আপনাদের আইনানুগ সহযোগিতা আমার একান্তভাবে কাম্য। এর আগেও গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টায় মাহবুবুর রহমান মামুনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার লোকজনকে মারধর করে ডাইং থেকে বের করে দিয়ে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে এবং আমার ব্যবসায়িক সাইনবোর্ডটি ভেঙেচুড়ে পাশের খালে ফেলে দেয় ও ফ্যাক্টরিতে লাগানো সিসিটিভি ও ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরো হুমকি প্রদান করে যে, দেখি তোরা কিভাবে ডাইং দখল রাখিস। 

শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘মূলত সোহেল সাহেবের মৃত্যুর পর আমাকে ব্যবসা থেকে উৎখাত করার লক্ষ্যে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ নভেম্বর আমার 'দেবর' জামালকে একটি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল মো. জসিম উদ্দিন মাসুমকে বিষয়টি অবহিত করা হলে থানায় গেলে ওসি জসিম উদ্দিন মাসুমকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে জামালকে থানা থেকে নিয়ে যেতে বাধ্য করান। পরবর্তীতে তিনি ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামকে উক্ত বিষয়টি অবহিত করেন। পরে এসপির নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৮ টায় ওসি এবং ১ম পক্ষের স্ত্রী ও তার লোকজনের সাথে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে বৈঠকে তারা আমাকে ওসির সামনে ডাইং ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন অন্যথায় দেখে নিবেন এবং জোর করে দখল করার ভয় দেখান।’ 

জমি দখলের অভিযোগ করে সঞ্জনা আল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের রেল লাইন কোতালেরবাগ কবরস্থানের সাথে মোট ৭১ শতাংশ জমি ২০১৭ সালের ৪ জুলাই পাওয়ার রেজিস্টার করা হয়েছিল। এর কিছু বছর পর ২০১৮ সালের ৭ জুন আমার বাবা মারা যায়। এর কিছুদিন পরে স্থানীয় সন্ত্রাসী জনি ও দিপু আমাদের জমির ৩০ শতাংশের কাগজ বায়না করার কথা বলে নিয়ে যায়। অথচ এখন বলে আসছে, জনি ও দিপুর কাছ থেকে ওই জমি বাবদ ৩০ লাখ টাকা ধার নিয়েছি। তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে লিখিত প্রমাণ চেয়েছি যা তারা দিতে পারেনি। উল্টো বাকি ৪১ শতাংশ জমি ভাড়া নেয়ার কথা বলে জনি ও দিপু আমাকে ও আমার মা কে তাদের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আমাদের কাছ থেকে জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা করে। তাই আমরা বাকবিতন্ডায় না জড়িয়ে কোন রকমে সেখান থেকে চলে আসি। পরে জানতে পারি যে, আমার বাবা মৃত মহিউদ্দিন মো. আক্তার হোসেনের কাছ থেকে জমির রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার নিয়েছিলেন। তাকেও জমি লিখে নেয়ার জন্য তাকেও ক্যাডার বাহিনী দিয়ে জনি ও দিপু উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তখন আক্তার হোসেন বলেছিলেন যে, মৃত মহিউদ্দিন সাহেবের ওয়ারিশ রয়েছে তার স্ত্রী ও সন্ত্রানরা। যদি লিখে দিতে বলে তাহলে আমি তাকে লিখে দিবো। এতে করে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি