ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ২২:২২, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নে একটি আমগাছ থেকে নাজমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে ঐ গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির উত্তর পাশে একটি আমগাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃবধূর শ্বশুর বাঁচ্চা বাবুকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
তবে নিহত গৃহবধূর পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ নাজমার স্বামী সাদ্দাম ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মোবাইল ফোনে ডেকে এনে নাজমাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে ।
নিহত নাজমা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালকারী গ্রামের নাজমুল হকের মেয়ে। নাজমার ৯ মাস বয়সি এককন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা আমগাছে গৃহবধূর মরদেহ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
গৃহবধূর মামা সামশুল অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে সদর উপজেলার রহিমানপুর খালপাড়া গ্রামের বাচ্চা বাবুর ছেলে সাদ্দামের সাথে বিয়ে হয় নাজমার। গত তিন মাস আগে সাদ্দামের সাথে শালিস বৈঠকে নাজমার তালাক হয়। বিয়ের সময় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিলেও তালাকের সময় ৮০ হাজার টাকা নাজমার পরিবারকে ফেরত দেয় সাদ্দাম।
নাজমার ৯ মাস বয়সের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়েকে দেখার কথা বলে সাদ্দাম গত শনিবার মোবাইল ফোনে নাজমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে নাজমার পরিবারের কাছে যৌতুকের ৮০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয়। আমরা সে টাকা দিতে রাজি না হলে সোমবার রাতে নাজমাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে সাদ্দামের পরিবার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম মুর্তজা বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে সেই সাথে তদন্ত চলছে। ময়না তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
কেআই/এসি
আরও পড়ুন