বাউফলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেধাবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৮:৫১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৮:৫৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীর মেধাবৃত্তির প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই প্রধান শিক্ষকের নাম মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।
ওই তিন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, উপজেলার ৩৭নং নুরাইনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আরিফুল ইসলাম, আবু সালেহ রাশেদ ও আবদুল্লাহ আল কাফি ২০১৫ সালে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সাধারণ মেধাবৃত্তি পেয়ে ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বৃত্তির টাকা উত্তোলন করে অধ্যায়নরত স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরই ওই তিন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ি একজন শিক্ষার্থী ৫ম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৫ টাকা পাওয়ার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ তিন শিক্ষার্থীকে মাত্র ৩ হাজার ৪ শ’ টাকা তুলে দিয়ে কৌশলে বাকি টাকা আত্মস্যাৎ করেন ।
২০১৫ সালে উপজেলার মেধা তালিকায় থাকা সকল শিক্ষার্থী তাদের বরাদ্ধকৃত সমুদয় টাকা পেলেও এই তিনজন কি কারণে বাকি টাকা পায়নি তা জানেন না অভিভাবকরা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও সুফল মেলেনি। শিক্ষার্থীরা এখন ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
এছাড়া স্কুলের পাঠোন্নয়ন পরীক্ষা, ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র বাবত অতিরিক্ত টাকা আদায়, শিক্ষা সফরের নামে ছাত্রছাত্রীদেরকে পিকনিকে বাধ্য করাসহ নানাভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ স্যারের কাছে টাকার জন্য গেলে তিনি ওই টাকা অফিসে খরচ হয়ে গেছে জানায়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক টাকা উঠিয়েছেন; কেন দেননি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এএইচ/
আরও পড়ুন