চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর আজ
বছর পেরুলেও সরকারি সহায়তা মেলেনি ১৭ পরিবারের
প্রকাশিত : ১২:২২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এক বছর আজ। এ অগ্নিকাণ্ডে শুধু নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলারই দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ জন। ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে তেমন কোনো সহায়তা পায়নি ভূক্তভোগি পরিবারগুলো। ফলে হতাশায় ও অনিশ্চতায় দিন কাটছে তাদের। তবে সরকারি নির্দেশনা পেলে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
এ কান্না একমাত্র অবলম্বন হারানোর। স্বামীহীন সন্তানকে নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তাই এ কান্নার রোল। প্রায় আড়াই বছরের সন্তান সাওন যখন বাবার কথা জানতে চায় তখন উত্তর খুঁজে দিশেহারা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নূর নাহার।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আকষ্মিক অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মারা যান নূর নাহারের স্বামী নাছির উদ্দিন। দাফন-কাপনের জন্য প্রশাসন ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। সরকারিভাবে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল চাকরি বা আর্থিক সহায়তা করার। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে মেলেনি কোনো সহায়তা। স্বামীর সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। শ্বশুরও গত হয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে আর্থিক সংকটে দিশেহারা পরিবারটি।
ওই দিন অগ্নিকাণ্ডে শুধু নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলারই নারী-পুরুষসহ দগ্ধ হয়ে মারা যান ১৭জন। সেদিন কেউ হারিয়েছে স্বামী, কেউ তার একমাত্র সন্তান আবার কেউ হারিয়েছেন একই পরিবারের একাধিককে। যাদের মাঝে কেউ কেউ রয়েছে একমাত্র উপার্জনক্ষম। প্রিয়জন আর সহায় সম্বল হারিয়ে যাদের পরিবারে এখন শুধু হাহাকার। বছর শেষ হলোও পরিবারের সদস্যদের চোখের জল যেন শেষ হয়নি। কেউ খোঁজ নিতে গেলেই ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন সন্তান হারা, বাবা-মা, স্বামী হারা, স্ত্রী বা প্রিয়জন হারা স্বজনরা। কবরের পাশে এখনও খুঁজে বেড়ান বুকের ধনকে, একমাত্র অবলম্বনকে।
ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে তেমন সহযোগিতা করা হয়নি। তবে সম্প্রতি নাটেশ্বর ইউনিয়ন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে দেয়া হয়েছে এক লাখ টাকা। স্থানীয়দের মতে যা যৎসামান্য।
ভুক্তভোগি পরিবারগুলো যাতে সর্বোচ্চ সহায়তা পায় সে প্রত্যাশা জেলা প্রশাসনেরও। সরকারিভাবে নির্দেশনা পেলে সহায়তারও আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।
অসহায় অবলম্বনহীন এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবে সরকার, গুছবে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভূক্তভোগি পরিবারগুলো।
আরও পড়ুন