ক্ষমা চেয়ে শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা ফেরত দিলেন প্রধান শিক্ষক
প্রকাশিত : ১৮:১৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
প্রধান শিক্ষক ও সেই তিন ছাত্র
অবশেষে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে শিক্ষাথীদের মেধা বৃত্তির টাকা ফেরত দিলেন প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ আর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে নিজ কার্যালয়ে অভিভাবক ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ।
এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ ও অভিভাবকদের সঙ্গে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা, পৌর সদরের নবারুন সার্ভে ইন্সটিটিউটের পরিচালক মোল্লা কুদ্দুসুর রহমান হাসনাইন ও ওই স্কুলের ধর্মীয় শিকক মাওলানা আব্দুল ওহাব উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালে পিএসসিতে সাধারণ মেধাবৃত্তি পেয়ে আরিফুল ইসলাম, আবু সালেহ রেশাদ ও আবদুল্লাহ আল কাফি নামে তিন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তিন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৫ম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মেধা বৃত্তির ৮ হাজার ৭৫ টাকা করে পাওয়ার কথা থাকলেও তিনজনকে মোট ৩ হাজার ৪ শ’ টাকা হাতে দিয়ে অফিসে খরচ হয়ে গেছে জানিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ।
বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও মেলেনি সুফল। পাঠোন্নয়ন পরীক্ষা, ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়, শিক্ষা সফরের নামে ছাত্রছাত্রীদেরকে পিকনিকে বাধ্য করাসহ নানাভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নিয়মিত কমিটি না করে পছন্দের লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়টিকে নিজ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করারও অভিযোগ ছিল প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকার বিষয়টি মিটমাট হয়েছে বলে জানায় অভিভাকরা। ভবিষ্যতে এ ধরনের আর কোনও ঘটনা ঘটবে না জানিয়ে ওই শিক্ষক তার অতীত ভুলের জন্য ক্ষমা চায়।’
এনএস/
আরও পড়ুন