ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

প্রেমের টানে এবার ইতালিয় তরুণী লক্ষ্মীপুরে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

প্রেমের টানে এবার ইতালিয় তরুণী লক্ষ্মীপুরে

প্রেমের টানে এবার ইতালিয় তরুণী লক্ষ্মীপুরে

কথায় আছে- প্রেম-ভালোবাসা মানে না কোনও ধর্ম, বর্ণ বা দেশের সীমানা। প্রচলিত এই কথাটিই যেন ইদানীং প্রমাণিত হচ্ছে বারবার। কিছুদিন আগে বাংলাদেশি যুবকের প্রেমে পড়ে লক্ষ্মীপুরে চলে আসে এক মার্কিন নারী। আর এবার সাত সাগর তের নদী মাড়িয়ে সেই লক্ষ্মীপুরেই এসেছেন এক ইতালীয় তরুণী।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার তরুণ মো. ইকবাল হোসেনের (২৭) প্রেমের টানে ইতালি থেকে ছুটে এসেছেন এই তরুণী। ভালোবেসে বিয়েও করেছেন দু’জন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হয়েছেন খাদিজা আক্তার (১৯)। 

যুবক ইকবাল উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের ওসমান আলী পাটোয়ারী বাড়ীর আক্তার হোসেনের ছেলে। তাদের খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে তাদের দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে বহু মানুষ।

এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন জানান, প্রায় ৬ বছর আগে ইতালিতে চাকুরির সুবাদে খাদিজার সঙ্গে পরিচয় ও প্রেম হয় তার। এরপর বাংলাদেশে চলে আসলেও ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে ইকবালের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল ওই তরুণী।

ইকবাল আরও জানান, সম্পর্ক চলাকালীন কাগজপত্রের কিছু সমস্যার কারণে তিনি ইতালিতে যেতে না পারলে গত বৃহস্পতিবার রাতে খাদিজা লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তাদের গ্রামের বাড়ীতে চলে আসেন। এসময় ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। 

ইকবাল বলেন, ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও বাঙালি নারীর মতোই স্বাভাবিকভাবে সব কাজ শিখে নিয়েছেন খাদিজা, পড়ছেন বাঙালি পোশাকও।
 
এদিকে নববধূ খাদিজা জানান, বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও পরিবেশ তার অনেক ভালো লেগেছে। একইসঙ্গে ইকবালের প্রতি তার অগাধ ভালবাসার কথাও জানান তিনি। এমনকি তাদের জন্য সবার নিকট দোয়া প্রার্থনাও করেন। সেইসাথে হানিমুনের জন্য কক্সবাজার ও মালয়েশিয়া যাবার কথাও জানান দুজনে। 

অন্যদিকে, ছেলে-পুত্রবধূর জন্য দোয়া চাইলেন ইকবালের বাবা আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ছেলের বউ দেখে আমরা আনন্দিত। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

এর আগে, প্রেমের টানে গত বছরের শেষ দিকে লক্ষ্মীপুরে চলে আসেন মার্কিন নারী সারলেট। লক্ষ্মীপুরের ছেলে মো. সোহেল হোসাইনের প্রেমে পড়ে তিনি আসেন বাংলাদেশে। 

সোহেল জানান, ২০১৬ সালের জুন মাসে সারলেট বাংলাদেশে এলে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু তার পরিবার তখন ওই বিয়ে মেনে নেয়নি। সারলেট তখন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এবার সবাইকে মানিয়েই তার পরিবারের কাছে এসেছেন সারলেট। এর আগে এক থাই তরুণীও বাংলাদেশে চলে আসার নজির লক্ষ্য করা যায়।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি