ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বন্যপ্রাণী ও শ্রীমঙ্গলের সিতেশ রঞ্জন দেব

বিকুল চক্রবর্তী,মৌলভীবাজার থেকে

প্রকাশিত : ২০:৩২, ৩ মার্চ ২০২০

সিতেশ রঞ্জন দেব। একজন বিরামহীন যোদ্ধা। শুরুটা স্বাধীনতার আগে। তিল তিল করে তিনি এগিয়ে চলছেন। কিন্তু যত সময় গড়াচ্ছে ভারি হচ্ছে বয়সের পাল্লা আর বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিপক্ষের হুংকার। প্রতিপক্ষের ক্ষমতা তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি। প্রতিপক্ষ মানে বিপন্ন পরিবেশ। যেখানে তাঁর সন্তানদের বসবাস। সন্তানের বসবাসের জায়গা যদি বিপন্ন হয় পিতা হিসেবে এর চেয়ে আর কষ্টের আর কি হতে পারে। এ অবস্থায়ই চলছে তার যুদ্ধ। সীতেশ বাবুর এ সংগ্রাম আমাদের চার পাশের পরিবেশ, বিপন্ন বন ও জীবজন্তু নিয়ে। 

সিতেশ রঞ্জন দেব এর বাবা শ্রীশ দেব ছিলেন সৌখিন বণ্যপ্রাণী সেবক। তিনি বিভিন্ন প্রাণী ধরে বাড়িতে এনে সেগুলোর যত্ন করতেন। সিতেশ বাবু খুব কাছ থেকে তা দেখেছেন। তাই তিনি যখন শিকারে যেতেন কৌশলে বিভিন্ন প্রাণী জ্যান্তও ধরতেন। এই জ্যান্ত ধরার কৌশল এক দিকে যেমন তার জীবনে খুব কাজে লেগেছে অন্যদিকে তার জীবনের বড় ক্ষতির দিকও হয়ে উঠেছে। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে উজাড় হওয়া বনের লোকালয়ের ঝোঁপঝাড়ের বিপন্ন প্রাণীগুলো লোকালয়ে এসে যখন এসে মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকে তখন তার সে কৌশল কাজে লাগিয়ে তাদের ধরে এনে অবমুক্ত করেন জঙ্গলে। এমনি ধারাবাহিক কর্মের একটি ঘটনা তার জীবনকে ঠেলে দেয় মৃত্যুর ঝুঁকিতে। দিতে হয় তার জীবনের বড় মূল্য। 

১৯৯১ সাল। পাত্রখলা চা বাগানের কিছু আদিবাসী পরিবারের লোক নিজেদের ফসল বন্য শুকরের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সিতেশ বাবুর স্মরণাপন্ন হয়। জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ খুব ভোর বেলা। ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। ধলই ভেলীর পাত্রখলা চা বাগানের নলখাগড়ার বন। কয়েকশত গজ পরেই ভারতীয় সীমান্ত। সিতেশবাবুও কাঁধে বন্ধুক নিয়ে ছুটে চলেন এদের তাড়াতে। বন্যশুকরের সন্ধানে চার দিকে প্রখর নজর দিয়ে এগিয়ে চলছেন সিতেশ বাবু। পেছনে পাত্রখলা চা বাগানের কয়েকজন শ্রমিকও ছিল তাঁর সঙ্গে। তবে বাকিরা ছিল বেশ পিছনে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে কাউকে লক্ষ করেননি সিতেশ বাবু। সমান্তরাল পথে চলতে চলতে হঠাৎ অনুভব করলেন তিনি উঁচু কিছুতে পা দিয়েছেন এবং সেটি তাকে ফেলে দিচ্ছে। মুহুর্তের মধ্যেই বিশাল আকৃতির একটি ইন্ডিয়ান ভাল্লুক তাকে থাবা দিয়ে বসে মুখের এক পাশে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। এক হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে তিনিও ভাল্লুককে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়েন। ভাল্লুকটিও লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। গুলির শব্দ পেয়ে পেছনে থাকা সাথীরা ছুঠে আসে কাছে। মৃত ভাল্লুকের পাশে আহত হয়ে পড়ে আছেন সিতেশ বাবু। একটি চোখ, নাক ও মুখের একাংশ পুরোটাই তুলে নিয়েছে ভাল্লুক। পাথরকলা ম্যানেজারের গাড়ি দিয়ে সিতেশবাবুকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে। সেখান থেকে জরুরীবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল। 

এরপর পঙ্গু হাসপাতাল থেকে সিএমএইচ হাসপাতালে। পরে কলকাতায়। সেনাবাহিনীতে কর্মরত সিতেশবাবুর কিছু বন্ধু অফিসারের সহায়তায় ও চিকিৎসকদের প্রানান্তকর চেষ্টায় প্রাণে বাঁচেন সিতেশ বাবু। তবে ফিরে পাননি তার মুখের পূর্বের অবয়ব। সাতবার অপারেশন শেষে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল তার মুখে প্লাষ্টিক সার্জারী করা হয়। এর পর থেকে এক চোখ, মুখে আলাদা দাঁত ও নাকের একটু ছিদ্র দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছেন সিতেশ বাবু। সিতেশ বাবুর মতে এটি তার দ্বিতীয় জীবন। তবে থেমে নেই তার প্রাণীর প্রতি মমত্ব। জীবনের এ বেলায় এসে ৭২ বছর বয়সেও চলছে যৌবনের সম পরিমান যুদ্ধ। সিতেশ বাবু জানান এটা আশা করিনি। এ ভাবে বন ধ্বংস হবে, হাওর ভরাট করে বাড়িঘর ও ফিসারী হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। শহরেতো ঝোঁপঝার নেইই যেখানে বন্যপ্রাণী বসবাস করবে। নতুন প্রজন্ম দিবে। এখন গ্রামেও ঝোঁপঝাড় নেই। মানুষ সব পরিস্কার করে বণ্যপ্রাণীকে বিতারিত করে দিয়েছে। এতদঅঞ্চলে একটাই বন। এই বনটিও আজ বৃক্ষ শূন্য। অন্যদিকে এক শ্রেণীর মানুষ আছেন বনে গিয়ে হৈ হুল্লু করে বন্য প্রাণীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করেন। এতে প্রাণী গুলো প্রতিনিয়তই বের হয়ে আসছে লোকালয়ে। আর বিপন্ন ও বিলুপ্তির পথে প্রাণীকুল।

বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ক্রমশ ধ্বংস হয়ে পড়েছে। তাই বিপন্ন আজ আমাদের দেশের বন্য প্রাণীরা। জঙ্গল ও ঝোঁপ ঝাড় কমে যাওয়ায় ইতিমধ্যে আমাদের দেশের অধিকাংশ বন্যপ্রাণী স্থান পেয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতিতে। এখনও যা আছে তা প্রতিনিয়তই মানুষের চোখে ধরা পড়ছে। আর এক শ্রেণীর উৎসুক জনতা এদের কেউ ধাওয়া করছে, কেউ আটক করছে, আবার কেউ তাদের মেরেও ফেলছে। মাঝে মাঝে তারা গাড়ির নিচে চাপা পড়েও মারা যায়। আর মৌলভীবাজারসহ সিলেট বিভাগে কোথাও এসকল প্রাণী বিপদে পড়লেই আতকে উঠে সিতেশ বাবুর প্রাণ। দ্রুত সেখানে ছুটে যান সিতেশ বাবু ও তার ছেলেরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্বার করে প্রাণীগুলোকে নিয়ে আসেন তার সেবাশ্রমে। 

এভাবে বিগত ৫০ বছরে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার প্রাণী উদ্ধার করেছেন। শুশ্রুষা করে বনে অবমুক্ত করার পূর্ব পর্যন্ত উৎসুক জনতা ভীড় করতেন তার বাসায়। এক সময় লোক মুখে মুখে প্রচার হয়ে যায় সিতেশ বাবুর মিনি চিড়িয়াখানা হিসেবে। বাড়তে থাকে তার প্রাণীর সংখ্যা। এই প্রাণীগুলোর খাবার যোগান দিতে সিতেশ বাবুকে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়। প্রাণীগুলো অসুস্থ হয়ে তার এখানে এলেও সিতেশ বাবুর অসুস্থ হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিদিনই প্রাণীর খাবারের সন্ধানে তাকে ছুটে যেতে হয়, কিছু পোকা মাকড়, ইদুর ও জ্যান্ত সাপ ধরার জন্য (তার সেবাফাউন্ডেশনের সাকিনি সাপের খাবার আরো একটি জ্যান্ত সাপ)। আর ফল, সবজীভোজী ও মাংশাসি প্রাণীর জন্য তার একমাত্র আয়ের অবলম্বন দুটি ফিশারি। বছরের পর বছর এ সব কাজ করতে করতে সিতেশ বাবু অনেকটা কাহিল হয়ে পড়েন। 
অথনৈতিক টানাপোড়নে তার দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় অনেক গুণ। এবস্থায় তার জীবনের কান্ডারী হয়ে আসেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর  প্রাক্তন গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। তিনি পরামর্শ দেন তার এই কর্মকান্ডগুলোকে সম্বল করে একটি বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার। এ যেন সিতেশ বাবুর নিভে যাওয়া আশার আলোতে প্রদীপের ঝিলিক। তার পরামর্শে ২০১১ সালে তিনি গড়ে তোলেন বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। এই সেবা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও সেবাযত্নের পরিমান বেড়ে যায় অনেক গুণ। বেশ কিছু প্রাণী নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষাও পায়। তার সেবা ফাউন্ডেশনে জীবন ফিরে পাওয়া অসংখ্য প্রাণীর মধ্যে একটির কাহিনী এমন। বন্যার সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিলাস নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে আসে একটি চশমা পড়া হনুমানের বাচ্চা। লোকজন মানুষের বাচ্চা ভেবে এটিকে কাছে এনে দেখতে পায় বাচ্চাটির লেজ রয়েছে। মানুষের বাচ্চার লেজ! এমন খবরে উৎসুক জনতা ভিড় করে বিলাস নদীর পাড়ে। এক সময় খবরটি চলে যায় শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বণ্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে। বণ্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব স্রোতম্বী বিলাস নদীর আশিদ্রোন ইউনিয়নের শিববাড়ি এলাকা থেকে অর্ধমৃত বাচ্চাটিকে উদ্বার করে তীরে নিয়ে এসে সনাক্ত করেন এটি চশমা পরা হনুমানের বাচ্চা। উদ্বারের সময় বাচ্চাটির নরাচড়া ছিল না, তবে প্রাণ ছিল। সেখান থেকে দ্রুত তিনি তাকে তার সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান। ফাউন্ডেশনে নিয়ে এসে গরম কাপড়ে পেঁচিয়ে গা গরম করেন এবং মুখে ডপার দিয়ে একটু একুট কুসুম গরম দুধ দেন। প্রায় দুই ঘন্টা এভাবে রাখার পর বাচ্চাটি নড়ে উঠে। এর পর শুরু হয় এর শুশ্রুষা। বাচ্চাটির পিঠের দিকে বেশ বড় একটি ক্ষত রয়েছে। পানিতে জায়গাটি সাদা হয়ে গিয়েছিল। সেখানে লাগানো হয়েছে মলম জাতীয় ঔষধ। বর্তমানে হনুমান শাবকটি সিতেশ বাবুর কনিষ্ঠ কন্যা সুমনার কোলে মাতৃ স্নেহে দুধ খাচ্ছে। এসময় বানর শাবকটিকে বেশ কয়েকবার লাফাতেও দেখা গেছে। সুমনা বাচ্চাটিকে মনু নামে ডাকছেন। এ ভাবে অসংখ্য গল্পের জন্ম দেয়া প্রকৃতি প্রেমী সিতেশ রঞ্জন দেব। 

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে প্রায় অর্ধশত প্রজাতির বিপদাপন্ন বণ্যপ্রাণী সেবা যত্ন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রী এমপি, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দূর্লভ ও বিলুপ্তপ্রায় নানান প্রজাতির প্রাণী-জন্তুও। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে অবমুক্তকরা প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে- ৩০টি মেছো বাঘ, ২৫টি লজ্জাবতি বানর, ২৯টি গন্ধগোকূল, ৪৭টি অজগর সাপ, ৭টি সবুজ বুড়াল সাপ, ৫টি শংখনী সাপ, ৫টি ফণি মনসা সাপ, ১টি কাল নাগিনী সাপ, বেশ কয়েকটি কিং কুবরা সাপ, ১০ টিরও বেশি গুই সাপ, ২০ টিরও বেশি তক্ষক সাপ, ১৭টি সাধারণ প্রজাতির বানর, ১২টি তক্ষক, ৫টি সোনালী বিড়াল, ২৬টি বন বিড়াল, ২টি হিমালয়ান পাম সিভেট, ১টি হনুমান, ১টি বনরুই, ৩টি গুঁইসাপ, ৩টি বন্য শুকুর, ৫টি উড়ন্ত কাঠ বিড়ালী, ১টি লেজবিহীন চিকা, ১টি বোম্বেটিনকেট গ্লেইক, ১টি ধনেশ পাখি, ৩টি কাছিম, ৮টি পেঁচা, ১টি পদ্মগোখরা সাপ, ১টি শেয়াল, ১টি হিমালয়ন ডোরা সাপ, ১টি দুধরাজ সাপ, ১টি দাঁড়াশ সাপ, ৩টি পিট ভাইপার, ১টি বাজ পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির ১৩২টি পাখি।

আর তার এ পৃথক পৃথক সময়ে অবমুক্তের সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রায়াত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী, বর্তমান বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সাবের হোসেন এমপি, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধক্ষ এম এ শহীদ এমপি, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, বানিজ্য সচিব গোলাম হোসেইন, মৌলভীবাজার জেলা প্রাশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক, বন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা বৃন্দ।

তার এ সেবা ফাউন্ডেশনের কথা এখানেই শেষ নয়। অসংখ্য প্রাণী ইতিমধ্যে তার ফাউন্ডেশনে বংশ বিস্তারও করেছে। বিষাক্ত শাকিনি দম্পতি ১০টি ডিম পাড়ে, ৩টি কালিম পাখি ৪টি ডিম পাড়ে, হরিণ ও খরগোশ বাচ্চা দেয়, অজগর সাপ ডিম দেয় একাদিকবার। সিতেশ বাবুর পিতৃ স্নেহে তার এ সেবা ফাউন্ডেশনের প্রাণীগুলো সেবা শুশ্রুষায় সুস্থ হয়ে উঠছে। আর ফিরে যাচ্ছে আপন আবাসনে। তবে এ তাজ করতে গিয়ে বেশ অর্থসংকটে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর এ কাজকে উৎসাহিত করার জন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বর্তমানে সিতেশ দেবের ৪ ছেলের মধ্যে তিন ছেলে সন্তোষ দেব, সজল দেব ও সঞ্জিত দেব বাবার সাথে প্রতিনিয়ত প্রাণী সেবায় নিয়োজিত। এক ছেলে প্রবাসে। শুধু ছেলে নয় ধরা পড়া প্রাণী গুলোকে পরম স্নেহে যত্ন করেন সীতেশ দেবের সহধর্মীনী ও মেয়েরাও।

সিতেশ রঞ্জন দেব বলেন আর পেরে উঠছেন না। ধরা পড়া প্রাণী কুলকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন আরো অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জনবল ও প্রাণীদের চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহে প্রতিদিন বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয়। এ জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজনীতার কথা উল্লেখ করে সিতেশ রঞ্জন দেবের ছেলে সজল বলেন, অর্থসংকটের মুখে সেবা আশ্রমটিকে টিকে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একই সাথে তাদের আক্ষেপ- প্রাণী গুলোর জন্য গ্রামে গঞ্জে কিছু ঝোপঝাড় স্থাপন ও বনকে রক্ষা করা। আজকের বন্যপ্রাণী দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।

কেআই/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি