মৌলভীবাজারে বিষমুক্ত বেগুনের বাম্পার ফলন
প্রকাশিত : ২১:১৪, ১০ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৫:৩৩, ১১ মার্চ ২০২০
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক চা শ্রমিক চাষ করেছেন শতভাগ বিষমুক্ত মালচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলন শীল পার্পল কিং বেগুন। যা এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রতি গাছে বিষমুক্ত বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ কেজি।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানে এর ফসল কর্তন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় মাঠ দিবস। লালতীর সীডের উদ্যোগে আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন মুনালিসা সুইটি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন, লালতীর সীডের সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী ও লালতীরের অনান্য কর্মকর্তা বৃন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যদেন মালচিং পদ্ধতিতে সফল বেগুন চাষী চা শ্রমিক সুজন সিং। এ সময় এলাকার অনান্য কৃষক ও সূধীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সফল কৃষক সুজন সিং কে পুরস্কৃত করা হয়।
কৃষক সুজন সিং জানান, লালতীর সীড থেকে ব্রীজ নিয়ে তিনি প্রথমবারের মাতো মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রীড বেগুন পার্পল কিং এর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন প্রকার স্প্রে করেন নি। তবে পোকা মাকর দমনের জন্য ব্যবহার করেছেন সেক্স ফেরেমাইন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন মুনালিসা সুইটি জানান, এটি চাষে ব্যাপক সফলতা পাওয়া গেছে। জমিতে পানি না উঠলে এ গাছ দুই বছর বাঁচে এবং প্রতি মৌসুমে গাছে ২০ থেকে ৩০ কেজি বেগুন দেয়। একই সাথে এটিতে পোকা মাকরের উপদ্রপ অনেক কম এবং খেতে এটি অনেকটা সু-স্বাদু।
তিনি জানান, পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা আছে এমন জায়গায় এটি সারা বছর উৎপাদন করা যায়। এটি তাপমাত্রা সহিষ্ণু। তবে এর উত্তম ফলনের জন্য ২০ থেকে ৩৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা ও বাতাসের আদ্রতা ৬০ থেকে ৮০ ভাগ হলে ভালো হয়।
লালতীর সীডের সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবতী জানান, এই চারা রোপনের ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যেই ফসল সংগ্রহ করা যায়। এর প্রতি শতাংশে ফলন ৩ শত ৮০ কেজি থেকে সাড়ে ৪ শত কেজি এবং একর প্রতি ফলন ৩৮ থেকে ৪০ টন।
তিনি জানান, এটি জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে অন্যতম আরো একটি কারণ হলো এটিতে অন্যান্য বেগুনের চেয়ে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উপদ্রপ অনেক কম। এর পুষ্ট ফসলের ওজন এক থেকে দেড়শ গ্রাম এবং এর আকার ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার।
তবে কৃষকরা জানান, বেগুনের বাজার মূল্য তারা কম পাচ্ছেন। বাজারে তারা নিজে বিক্রি করতে না পারায় এটি ১৫/১৬ টাকা দরে আড়ৎ-এ দিতে হয়। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
কেআই/এসি
আরও পড়ুন