নলছিটিতে ভেজালবিরোধী অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
প্রকাশিত : ২২:১৬, ১১ মার্চ ২০২০
ঝালকাঠি-বরিশাল সড়কের পার্শ্ববর্তী নলছিটি উপজেলাধীন ষাটপাকিয়া এলাকায় অবৈধ শিশু খাদ্য ও ডিটারজেন্ট সাবান উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের দায়ে এক কারখানা মালিককে অর্থদন্ড ও অবৈধ কারখানা সীল্ড করা হয়েছে।
গত বুধবার দিবাগত রাতে ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত এক অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক মীর ইমদাদুল ইসলামকে ৮০হাজার টাকা জড়িমানাসহ ভেজাল শিশু খাদ্য ও কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ষাটপাকিয়া এলাকায় বরিশাল র্যাব-৮ একটি দলসহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর মনোগ্রাম সম্বলিত মোড়ক পরিবর্তন করে ও সরকারী অনুমোদনহীন অস্বাস্থ্যকর শিশু খাদ্যসহ ভেজাল ডিটারজেন্ট সাবান উৎপাদনের কাচামাল জব্দ করে।
এসময় আটক কারখানার মালিক ষাটপাকিয়া এলাকায় মীর শফিকুল ইসলামের ছেলে মীর ইমদাদুলের কাছে এ সব উৎপাদিত পণ্যের স্বপক্ষে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং মোবাইল কোর্টের সামনে তার দোষ স্বীকার করে।
এঅবস্থায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাখাওয়াত হোসেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আটককৃত মীর ইমদাদুলকে অধীনে ৮০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনহীন কারখানাটি সিলগালা করে পরবর্তীতে এধরনের অবৈধ উৎপাদন না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
স্থানীয় সচেতন একটি সূত্র জানায়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল মানুষকে নয়ছয় বুঝিয়ে প্রতারণা করে দন্ডিত মীর ইমদাদুলের কারখানা অস্বাস্থকর-নিন্মমানের শিশু খাদ্য এবং অবৈধ ডিটারজেন্ট সাবান উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। এধরনের শিশুখাদ্য ও ডিটারজেন সাবান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুকিপূর্ণ হলেও প্রশাসনের দৃষ্টির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আবদুল্লাহ আল মঈন হাসান বলেন, নকল শিশুখাদ্যগুলো ও ডিটারজেন্ট তৈরি না করার জন্য কারখানার মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন। র্যাব উদ্ধার করা অবৈধ ডিটারজেন্ট ও শিশুখাদ্যগুলো নষ্ট করে দেয়।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন