জালিয়াতির দায়ে কলেজ অধ্যক্ষ বহিষ্কার
প্রকাশিত : ১৭:৪৭, ১২ মার্চ ২০২০
বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশা। ছবি: একুশে টেলিভিশন
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশা হাওলাদারকে তার পদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি জালিয়াতি (টেম্পারিং) ও শিক্ষা জীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ গোপন করে বিধি বর্হিভূত ও অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কলেজ থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হয়।
গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) কলেজ সভাপতি ও ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের সভাপতিত্বে গভর্নিং বডির সভায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাতিলসহ থেকে কলেজ থেকে স্থায়ী বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সভায় সহকারী অধ্যাপক সমীর কুমার সাহাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে পত্র প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে কলেজের সকল কাগজপত্র, দলিলাদি, হিসেব-নিকাশ, সংরক্ষিত সম্পদ, তালাচাবি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বহিস্কৃত অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী কাঙ্খিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি জালিয়াতি (টেম্পারিং), শিক্ষা সনদে (অর্নাসসহ) একাধিক তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্তির তথ্য গোপন ও ক্ষমতাশীন দলের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুকৌশলে গত ২০১৬ সালের ২৭ মে তারিখে আবুল বাসার বাদশা হাওলাদার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। সরকারি বিধিবিধান লংঘন করে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে অধ্যক্ষ পদ দখলপূর্বক এমপিও, বেতনভাতা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি ও অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্থানীয় ব্যক্তিদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক তদন্তে অধ্যক্ষের জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশার নিয়োগ বাতিল করে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য কলেজ গভর্র্নিংবডির সভাপতি সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
এএইচ/
আরও পড়ুন