নাটোরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভিক্ষুকদের মাঝে দোকানঘর বরাদ্দ
প্রকাশিত : ১৯:৫২, ১৮ মার্চ ২০২০
মুজিববর্ষ উপলক্ষে নাটোরে ভিক্ষুকদের মাঝে দোকানঘর, সেলাই মেশিন, ছাগলসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।
বুধবার দুপুরে জেলা কালেক্টরেট ভবন চত্বরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ভিক্ষুকদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন। ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, উন্নত দেশের কাতারে খুব দ্রুত দাঁড়াবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় চলমান এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ কাজের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উন্নত দেশে ভিক্ষাবৃত্তি বেমানান। তাই ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহিতকরণে দেশের ভিক্ষুকদের বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবার আগেই ভিক্ষাবৃত্তি দূর করার লক্ষ্য সরকারের।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, কৃষি, গার্মেন্টস, রেমিটেন্স ও প্রযুক্তিখাতের আয়ের ধারা জাতীয় অর্থনীনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। তাই কৃষকের ফসলের নায্যমূল্য নিশ্চিতসহ প্রতিটি খাতের লাভজনকতার ব্যাপারে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের ব্যাপারেও সরকার উৎসাহী।
অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম রাব্বী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষে নাটোর’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানায়, নাটোর জেলায় মোট ১ হাজার ৩৭৪জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করবে জেলা প্রশাসন। এ কাজে ব্যায় হবে ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারী কর্মচারীদের এক দিনে বেতন থেকে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৭ টাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থসংস্থান করা হবে।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন