চুয়াডাঙ্গায় করোনাক্রান্ত ইতালি ফেরত যুবক
প্রকাশিত : ১৬:২৯, ১৯ মার্চ ২০২০
চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসাধীন করোনাক্রান্ত ইতালি ফেরত যুবক
চুয়াডাঙ্গায় ইতালি ফেরত এক যুবক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার নমুনা পরীক্ষা করে আইইডিসিআর থেকে পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ওই রোগী বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিভিল সার্জন ডা: এ এস এম মারুফ হাসান তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৩০ বছর বয়সের ওই যুবককে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের একটি কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার বাবাকেও রাখা হয়েছে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে।
সংবাদ বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১২ মার্চ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ইতালি থেকে দেশে ফেরে ওই যুবক। বিমানবন্দরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ছাড়পত্রও দেয়া হয়। ঢাকাতে দুই দিন অবস্থানের পর ১৪ মার্চ নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাতে ফেরেন ইতালি ফেরত ওই যুবক। এর একদিন পর থেকেই ঠান্ডা, কাশি ও গলাব্যাথাসহ জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। খবর পেয়ে গত ১৬ মার্চ তাকে ভর্তি করানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ভর্তির পর ঢাকা আইইডিসিআর'র একটি প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গাতে এসে ওই যুবকের শরীরের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর তার শরীরের রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় আইইডিসিআরে। বুধবার রাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আইইডিসিআর ওই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্তের রির্পোট দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, জেলার চারটি উপজেলাতে মোট ৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাতে ২ জন, জীবননগরে ৩৩ জন, দামুড়হুদাতে ১৩, আলমডাঙ্গাতে ৩৫ জন রয়েছেন। তাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণে রেখে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, হোম কোয়ারেন্টাইনে ৮৩ জনের কথা বলা হলেও জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে বুধবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টানে আছেন ১০৫ জন। এখানে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নেরও উত্তর দেন সিভিল সার্জন ডা: এ এস এম মারুফ হাসান।
তিনি দাবি করেন, জেলার চারটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা তালিকা প্রণয়ন করছি।
সংবাদ বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যেহেতু করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে সেহেতু বিনা কারণে হাসপাতালে জনসাধারণকে হাসপাতালে না আসার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে করনীয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, জেলাতে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশ ফেরত ১০৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৪২ জন, জীবননগরে ৩৩, আলমডাঙ্গাতে ১৫ ও দামুড়হুদাতে ১৬ জন।
এনএস/
আরও পড়ুন