বাগেরহাট-৪: আগামীকাল ভোট, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাগেরহাট-৪ আসনের (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) উপ-নির্বাচন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। 

পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছেন। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। 

এদিকে, আজ শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকার ১৪৩টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী। 

নির্বাচনে তিন লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ ও নারী ভোটার রয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন। 

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকতা মো. ইউনুচ আলী বলেন, ‘বাগেরহাট-৪ আসনের অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোট নির্বিঘ্ন করতে দশ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড, র‌্যাবের ১০টি টিম কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে।’

তিনি জানান, ‘এসবের পাশাপাশি ২৩ জন নির্বাহী, দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশের ২১টি ভ্রাম্যমাণ টিম এবং দশটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পাঁচজন করে পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান ওই কর্মকর্তা।’

প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করে। 

ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে। বিএনপি দলীয় প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান ঋণ ও কর খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

এআই/