নাটোরে চাহিদার অতিরিক্ত পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভীড়
প্রকাশিত : ১৭:৫০, ২০ মার্চ ২০২০
নাটোরে চাহিদার বেশি পণ্য কিনতে দোকানে ভীড় করছে ভোক্তারা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারাও বাড়িয়ে দেন পণ্যের দাম। করোনা ভাইরাসের কারণে সব বন্ধ হয়ে যাবে’ এমন আতঙ্কে ভোক্তারা চাহিদার চেয়ে বেশি পণ্য কিনতে শুক্রবার সকাল থেকে দোকানে ভিড় করেন। এতে করে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন অপ্রয়োজনীয় মজুদ ও কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে খুচরা পর্যায়ে পন্য বিক্রির পরিমান নির্ধারণ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রনে আসে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহী থেকে সকল রুটে দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষনার পর সাধারণ মানুষের মনে আতংকের সৃষ্টি করে। তাদের ধারণা করোনার কারণে এমনিতেই বিদেশ থেকে কোন পণ্য আসছে না। এরপর পরিবহন বন্ধ থাকলে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং সংকট সৃষ্টি হবে, এই আতঙ্কে শুক্রবার সকাল থেকেই চাল ,ডালসহ নিত্য পণ্যের বাজারগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা।
এসময় ৩০-৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ২০ টাকা কেজির আলু ২৫ টাকা, ৫০টাকা কেজির রসুন ১০০টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া চালের বাজারগুলোতেও বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভিড়। এসময় চালেরও দামও কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে যায়। এসময় ৩০-৩৫ টাকা কেজির চালের দাম হাঁকা হয় ৪০ টাকা।
ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ও চাহিদার বেশী পণ্য ক্রয়ের সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা শহরের কানাইখালীর চাল বাজারে অভিযান চালান।
এসময় অপ্রয়োজনীয় মজুদ ও কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে খুচরা পর্যায়ে ২০ কেজির ওপর চাল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন তারা ।একই সাথে প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাঁচা বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম বলেন, দেশে কোন পণ্যের ঘাটতি নাই। পর্যাপ্ত পরিমানে পণ্য মজুদ রয়েছে। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। কেউ অহেতুক দাম বেশি নিলে আইনের আওতায় আনা হবে।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন