ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজারে লন্ডন প্রবাসী নারীর মৃত্যু: সন্দেহ করোনা  

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৯:২৭, ২৩ মার্চ ২০২০

মৌলভীবাজারে করোনাভাইরাস সন্দেহে এক লন্ডন প্রবাসী নারীর মৃত্যু হয়েছে। আর এ ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসন ওই মহিলার বাসাসহ আসেপাশের ৫টি বাসার সকল মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান, মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি তদন্ত পরিমল দেব।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: পার্থ সারতি কানুনগো জানান, রবিবার দুপুরে শহরের কাশিনাথ রোডের ওই রোগীকে মুমূর্ষুবস্থায় হাসপাতালের নিয়ে আসলে তার শরীর ঠান্ডা পাওয়া যায়। এ সময় তাকে ইসিজি করে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন পরে তার স্বজনরা তাকে নিয়ে দাফন করেন। সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগ খবর পায় নিহত ওই মহিলার জ্বর সর্দি, কাশি ছিলো এরপর সোমবার বিকেলে তারা ওই বাসায় গিয়ে অনেকটা করোনার সিমটম অনুমান হলে সাথে সাথেই কাশিনাথ রোডে ওই মহিলার বাসার আশে পাশের ৫টি বাসাকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বিনেন্দু ভৌমিক জানান, মারা যাওয়া ওই মহিলার নাম রেজিয়া বেগম বয়স ৬০ বছর তিনি এক মাস আগে ইংল্যান্ড থেকে দেশে আসেন। তবে তিনি তিনি কোন রোগে মারা গেছেন তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা।

মৌলভীবাজার বিএম এ নেতা ডা: ছাব্বির আহমদ জানান, প্রায় ১ মাস পূর্বে রেজিয়া বেগম (৬০) নামের এই নারী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন। শহরের কাশিনাথ রোডের এম.আর.ভিলা নামীয় নিজেস্ব বাসায় বসবাস করতেন।

২২ মার্চ দূপুর দেড় টার দিকে রেজিয়া বেগমকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরিক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে লাশ কাশিনাথ রোডের বাসায় নিয়ে গোসল শেষে কাপনের কাপড় পড়িয়ে রাত ৯টার দিকে একটি ফ্রিজিং গাড়ীতে রাখা হয়। 

সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার ভাদগাঁও গ্রামে স্বামীর বাড়ি নেয়া হয়। ওখানে দূপুর ২টায় গাড়ীতে রাখা অবস্থায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় একই উপজেলার গিয়াস নগরে। সেখানে বিকেল ৩টায় ২য় জানাজা শেষে মাদ্রাসার পাশে লাশ দাফন করা হয়। 

এঘটনার পর শহরের কাশিনাথ রোডের ৫টি বাসাকে প্রশাসন হোম কোয়ারেন্টাইনে আওতায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ মিলে ৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। 

এব্যাপারে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো: ফারুক আহমদ জানান, এ রেজিয়া বেগম মারা যাওয়ার পরে পর তার বাসার লোক, হাসপাতালের ডাক্তার স্টাফ, বহনকরা গাড়ির চালক, গোসল, জানাজা, দাফনে অংশ নেয়া অসংখ্য মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন তাদের প্রত্যেককেই নিজেদের স্বার্থে এই মৃত্যুর কারণটি সনাক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন তা মেনে চলেন। একই সাথে বাকী যারা সম্পৃক্ত হয়েছেন তারাও যেন নিজ দায়িত্বে সতর্ক হন। তিনি জানান একই সাথে তারা ওই এলাকায় মাইকিং করে অনান্য বাসিন্দাদের সবাইকে সর্তক করেছেন।

কেআই/আরকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি