হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি ও যাত্রী পারাপার বন্ধ
প্রকাশিত : ১৮:৪৮, ২৪ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ কলকাতায় লগডাউন ঘোষণার কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিসহ যাত্রি পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। তবে ভারতে আটকে পড়া যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ চালু রয়েছে।
ভারতের হিলির সিএন্ডএফ এজেন্ট খোকন সরকার জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গতকাল সোমবার ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে আগামী ২৭ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত কলকাতায় লগডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার পর থেকে বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে দু'দেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সচিব শাহিনুর ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সোমবার বিকেল ৫টার পর থেকে ভারত পণ্য রফতানি বন্ধ করে দেয়। এবিষয়ে ভারতীয় এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সমগ্র কলকাতা জুড়ে লগডাউন ঘোষণা করায় ২৩ মার্চ বিকেল থেকে ২৭ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোন পণ্য রফতানি বা আমদানি করবেন না। একারণে এসময় বন্দর দিয়ে দু'দেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তবে আগামী ২৮ মার্চ আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ওসি সেকেন্দার আলী বলেন, গত ১৩ মার্চ ভারত সকল প্রকার যাত্রী পারাপার বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর ফলে ১৪ মার্চ থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দু'দেশের ভেতরে আটকে থাকা যাত্রী পারাপার খোলা ছিল। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট কতৃপক্ষ আমাদেরকে জানিয়েছেন এই মুহুর্ত থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ বিশ্বের সকল দেশের নাগরিককে আর কোন প্রকার গ্রহণ করবেন না। এমনকি বিভিন্ন কাজে গত ১৩ মার্চ এর পুর্বে আসা ভারতীয় যেসব নাগরিক বাংলাদেশে আটকা পড়ে রয়েছে তাদেরকেও তারা আর গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন। সে মোতাবেক আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কোন পাসপোর্টযাত্রী ভারতে প্রবেশ করেনি। তবে ভারতের অভ্যন্তরে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক আটকা রয়েছে সেসব নাগরিক দেশে ফিরছেন।
কেআই/
আরও পড়ুন