টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ ইয়াবাকারবারি নিহত
প্রকাশিত : ০৯:০৪, ২৮ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১১:০১, ২৮ মার্চ ২০২০
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি-পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার ইয়াবাকারারি নিহত হয়েছে। এরমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে তিনজন ও পুলিশের সঙ্গে একজন নিহত হয়।
আজ শনিবার ভোর রাতে পৃথক সময়ে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ছ্যুরিখাল ও হোয়াইক্যং এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। এসময় বেশকিছু ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ ২নং বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল ফয়সাল হাসান খান জানান, ‘রাতে টেকনাফস্থ হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বিওপি’র সদস্যরা টহল দেয়ার সময় মিয়ানমারের ওপার ৪ থেকে ৫ জন নৌকা নিয়ে নদী পার হয়ে এপারে আসলে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের পিছু ধাওয়া করলে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়।’
তিনি জানান, ‘এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, দুটি দেশিয় তৈরী বন্দুক, দুটি বন্দুকের তাজা কার্তুজ, একটি খালি খোসা ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয় বলেও জানান বিজিজির এই কর্মকর্তা।
অপরদিকে, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, ‘শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে টেকনাফ থানা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুছা আকবর (৩৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী এলাকায়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানে আলম জানান, ‘বিজিবি ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। আহত বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত চার মাসে (২৭ মার্চ পর্যন্ত) বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৮ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ১৭ জন ডাকাত এবং বাকিরা মাদক কারবারি ছিল বলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দাবি করছে। এর আগে ২০১৮ সালের মে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলমান মাদক বিরুধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫৬ রোহিঙ্গাসহ ২০৯ জন নিহত হয় কক্সবাজার জেলায়।
এআই/
আরও পড়ুন