ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় রাস্তাঘাট ফাঁকা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১১:৩০, ২৮ মার্চ ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের ফলে ফাঁকা হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাঠ, হোটেল-রেঁস্তোরা ও অফিস আদালত। ওষুধের দোকান আর কাঁচাবাজার সীমিতভাবে খোলা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।

আজ শনিবার সকালে শহরের শহীদ হাসান চত্বর, কলেজরোড, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও একাডেমির মোড়সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, ফাঁকা রাস্তাঘাটে লোকজনের ভীড় নেই। রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানের সংখ্যাও নগন্য। তাও যাত্রীর অভাবে অলস বসে আছে এসব যানবাহন।

আয় কম এবং ঘরবন্দি হয়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। দিনমজুর, শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এখন ভিজিএফ কর্মসূচির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। তবে এখনও ভিজিএফ কর্মসূচি চালু হয়নি।

চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ হবার পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশ বন্ধ হয়ে গেছে। দু-একটি ক্লিনিকে জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে। 

১০০শ শয্যার চুয়াডাঙ্গার জেনারেল হাসপাতালে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, ‘চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য। তবে গুরুতর অসুস্থ ছাড়া কাউকে অন্তর্বিভাগে ভর্তি করা হচ্ছে না।’

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, ‘নোভেল করোনার  প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জেলায় বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৯৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ১ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ও আক্রান্ত অপর ১ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১১৩ জনের প্রত্যেককে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর শারীরিক অসুস্থতা লক্ষণ না দেখা যাওয়ায় অব্যহতি দেওয়া হয়।  

তিনি আরও জানান, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জেলায় সরকারি হাসপাতালে ৩০ জন ডাক্তার ও ২২ জন নার্স এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন ডাক্তারকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া বিদেশ থেকে আগত প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, জনসমাবেশ বন্ধকরণ, বাজার মনিটরিং , জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়ানো ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও সামরিক বাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।’

পাশাপাশি দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন থাকায় খাদ্যাভাবে পড়তে পারে এমন নিম্ন আয়ের মানুষকে মানবিক সহায়তার জন্য খাদ্য সরবরাহ করা হবে। অনেক বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। 

এআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি