ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নওগাঁয় শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগে মা আটক

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৪৩, ২৮ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৮:৪৬, ২৮ মার্চ ২০২০

নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে মায়ের হাতে মেয়ে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম সুমাইয়া আক্তার (৬)।  শুক্রবার রাতে তার নিজ বাড়িতে শয়ন কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মা তামান্না বেগম (২৭) ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকলেও শনিবার বিকেলে পাশের উপজেলা ধামইরহাট তার নানার বাড়ি থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সুমাইয়া রঘুনাথপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের তৈয়ব হোসেনের মেয়ে তামান্না বেগমের ৮ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সুমাইয়ার জন্মের ৩ বছর পর সিরাজুল ইসলাম সৌদি আরবে যান। ওইদিন প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তান তার শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘরের দরজা খুলতে দেরী হওয়ায় সিরাজুলের মা আমেনা বেগম অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। এরপর দেখতে পান সুমাইয়ার মৃতদেহ খাটের উপর পড়ে আছে। ঘরে তার পুত্রবধূ তামান্না নেই।

পরিবার ও গ্রামের লোকজনের ধারণা দীর্ঘদিন ধরে স্বামী না থাকায় কারও সঙ্গে পরকীয়ার সর্ম্পক গড়ে উঠতে পারে। আর এ পরকীয়ায় পথের কাঁটা দূর করতেই সুমাইয়াকে হত্যা করে তামান্না পালিয়ে যেতে পারে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শুকুর আলী বলেন রাতের কোন এক সময় সুমাইয়াকে হত্যা করে, তার মা বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যেতে পারে।

এদিকে ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল তদন্তকারী অফিসার নওগাঁ সদর থানার ওসি (ওসি) ফায়সাল বিন আহসান জানান প্রাথমিক তদন্তে শিশুটিকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরেই তার পালিয়ে যেতে পারে।

নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারী তামান্নার নানা বাড়ী ধামইরহাট থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি