কিশোরীকে ব্ল্যাকমেইল করে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৬)। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ যুবককে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে কৌশলে তুলে নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়। 

এদিকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আটক তিন যুবক হলো- উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের মঙ্গলবাড়ী হাসপাতাল পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (১৯), একই এলাকার জোবায়দুল হকের ছেলে মমিনুল ইসলাম (১৯) এবং আতোয়ার হোসেনের ছেলে মোল্লা হোসেন (২৪)।  এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে রাত ৯টার দিকে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার জানান, ধামইরহাট উপজেলার বড়শিবপুর (ঘোনপাড়া) গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কিশোরী মেয়ের ফেসবুক থেকে কিছু ছবি কৌশলে নিয়ে বিভিন্ন সময় ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল ৪/৫ জন যুবক। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ছবিগুলো এডিটিং করে আপত্তিকর অবস্থায় দেখিয়ে অনলাইনে আপলোড করবে এ ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ইউনিয়নের আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের পশ্চিম পাশে বনের ভেতরে নিয়ে আসে। সেখানেই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার সময় ওই কিশোরীর আর্তচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় গ্রামবাসী ওই তিন যুবককে আটক করে পুলিশের নিকট সোর্পদ করে।

খবর পেয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান মিয়া, পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, ধামইরহাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাসান সরদারসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান মিয়া জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকী দুইজনকে আটক করতে পুলিশের টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

এনএস/