ঠাকুরগাঁওয়ে জ্বর ও শ্বাষকষ্ট নিয়ে একই পরিবারের ৫ জন মেডিকেলে
প্রকাশিত : ২৩:৩৬, ২৮ মার্চ ২০২০
ঠাকুরগাঁওয়ে একই পরিবারের আড়াই বছরের শিশুসহ তার বাবা-মা অসুস্থ হওয়ার পর ওই পরিবারের আরো দুই স্বজন ‘জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়’ আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সকলকে বিশেষ ব্যবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রশাসন।
সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, প্রথমে আড়াই বছরের শিশুসহ স্বামী (৩০) ও স্ত্রী (২৪) আক্রান্ত হয়। পরে ওই শিশুটির ছোট ভাই (২৫) ও তার স্ত্রী (২০) একই সমস্যায় পড়েন। অসুস্থ্যরা সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান নদীপাড়ার বাসিন্দা।
চেয়ারম্যান বলেন, “বুকের প্রচণ্ড ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছটফট করছিল। এছাড়াও তাদের জ্বর, সর্দি ও কাশি রয়েছে।”
শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে একটি মেডিকেল টিম, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে যান। এরপর তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে আক্রান্ত পাঁচজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান চেয়ারম্যান।
“এর ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”
এদের মধ্যে একজন (৩০) ঢাকায় রেস্তোরায় কাজ করতেন। গত ১৩ মার্চ ঢাকা থেকে মাদারীপুর পিকনিকে গিয়ে অনেক মানুষের সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পিকনিক থেকে ফেরার পরই তার জ্বর শুরু হয়। জ্বর নিয়ে কয়েকদিন আগে ট্রেন যোগে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পর তার জ্বর বাড়তে থাকে, সেই সাথে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা। একই সমস্যা দেখা দেয় তার স্ত্রী ও কন্যা শিশুর। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল বলেন, প্রথমে অসুস্থ ৩ জনকে ও পরে ২ জনকে সরকারি এ্যম্বুলেন্সে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক দল তাদের ক্লিনিকালি পরীক্ষা করেছেন। ঢাকা আইইডিসিআর-এ যোগাযোগ করা হয়েছে। রংপুর জেলায় তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল অবস্থান করছেন। তারা রোগীদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন। ৫ জন রোগীর মধ্যে একজনের শরীরে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে বলে জানান ডা. নাদিরুল আজিজ চপল। শনিবার সন্ধ্যার পর তাদের ৫ জনকেই রংপুর পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ও সদর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঐ এলাকার লোকজনকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
আরকে//
আরও পড়ুন