করোনায় হিলিতে বিপাকে পত্রিকা বিক্রেতারা
প্রকাশিত : ১৬:০৫, ২৯ মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনাজপুর হিলিতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে গত ৬ দিন ধরে ওষুধ, কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ব্যাতীত সকল ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও সরকারি ছুটির কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় বন্ধ রয়েছে বন্দর, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ বিভিন্ন অফিস। এতে করে বেকার হয়ে পড়েছেন পত্রিকা বিক্রেতারা।
হিলি বাজারের ইলেকট্রনিক্স দোকানদার আব্দুল করিম মোল্লা জানান, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে হিলি বাজারের হোটেল রেস্তোরাসহ সকল দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করেন। শুধুমাত্র ওষুধ, কাঁচামাল ও নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা একান্তই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাহির হচ্ছি না, তাহলে আর পত্রিকা কিভাবে নিবো, বা পড়বোই কিভাবে।’
হিলি স্থলবন্দরের পত্রিকা এজেন্ট সাজু মিয়া বলেন, ‘করোনা কারণের ধীরে ধীরে বেশ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ রয়েছে। এখন হাতেগোনা কয়েকটা পত্রিকা আসলেও হিলি স্থলবন্দরের বেশিরভাগ আফিস, বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় পত্রিকা বিক্রি না হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছি। আর যেসব পত্রিকা আসছে সেগুলোও বিলি করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে পত্রিকার সাথে জড়িত এজেন্ট ও হকার মিলিয়ে ১৫ জনের মতো মানুষ রয়েছি, তারা সকলেই এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জেলা ও উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৪ মার্চ থেকে হিলি বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র ওষুধ, নিত্যপণ্য ও কাঁচাবাজার খোলা রয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এমন অচলাবস্থায় অনেকেই বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষজন তাদের কার্যক্রম চালাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। তবে তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তাদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে অচিরেই তাদের মাঝে চাল ডাল ও আলু বিতরণ করা হবে জানান তিনি।
আরও পড়ুন