নাসিরনগরে বন্ধ হয়নি সপ্তাহিক হাট,বাড়ছে করোনা ঝুঁকি!
প্রকাশিত : ২০:২১, ২৯ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ২০:২২, ২৯ মার্চ ২০২০
জনসমাগম না ঘটিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার বসার নিয়ম থাকলেও নাসিরনগরের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। আগের মতোই চলছে তাদের দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞ। করোনা নিয়ে নেই এ এলাকার মানুষের কোন উদ্বেগ। মানছে না সরকারি নিয়মও। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট খোলা রাখছেন। স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে সবকিছু। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের।
শনিবার ২৮ মার্চ উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারে বিকেল ৫টার সময় গিয়ে দেখা যায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কেউ মাছ কিনছে, কেউ কিনছে সবজি। আবার অনেকেই পাশের চায়ে দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কারোই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কোন চিন্তা নেই। শ্যামপুরে সপ্তাহে তিনদিন বসে সপ্তাহিক হাট। কথা হয় ওই বাজার কমিটির সভাপতি ফুল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ও শনিবারে সপ্তাহিক হাট বসেছে। সবাইরে না করছি বাজারে না আইতে কিন্তু কেউ কথা
শুনেনা।
রোববার ২৯ মার্চ উপজেলা সদরে ফায়ারসার্ভিস অফিসের পাশে বিশাল সপ্তাহিক হাট বসে। ইজারা মুক্ত হওয়ায় এ বাজারে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মানুষজন আসে। বিশেষ করে চাতলপাড়, ভলাকুট ও গোয়ালনগরের তিদন ইউনিয়নের মানুষ সবজি বিক্রি করতে বেশি আসে বলে জানা যায়। কথা হয় সবজি বিক্রেতা গোয়ালনগর থেকে আসা ইদ্রিস মিয়ার সাথে, তিনি বলেন, অনেক টাকা খরচ করে ক্ষেতে সবজি ফলাইছি। বাজারে সবজি না আনলে বিক্রি করমু কেমনে। আর সবজি বিক্রি না করলে খামু কি।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম জানান, বুধবারে ও রোববারে সপ্তাহিক হাট বসেছে। আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে বুঝিয়ে জনসমাগম কমাতে। বাজারে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি আছে কিনা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, বাজার না করলে খাব কি। আর সকালে নাসিরনগর বাজারে মানুষের ভিড় কম থাকে। বিকেল হলে বাজারে হাটা যায়না। তাই সকালে বাজার করতে আসছি।
ভলাকুট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া জানান, আমাদের এখানে সপ্তাহিক হাট বসেছিল শনিবারে। মানুষদের বুঝানো চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কথা শুনতে চায় না। তবে আগের তুলনায় মানুষ বাজারে কম আসে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী বলেন, গরুর হাট বাজার নিষিদ্ধ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাবেচার জন্য সীমিত বাজার বসতে পারে, তবে অবশ্যই তিন ফিট এর দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং জনসমাগম করা যাবেনা।
কেআই/
আরও পড়ুন