২০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিল ঢাকাস্থ বেনাপোল সমিতি
প্রকাশিত : ২৩:২১, ৩১ মার্চ ২০২০
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে দেশজুড়ে সরকার ঘোষিত লকডাউন পদ্ধতিটা যেমন সময়োপযোগী, তেমনি এর বিপরীতে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও অসহায় গরীব মানুষের নির্মম কষ্টের চিত্রটাও নিদারুণ সত্য। আর তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা, জন্মস্থানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও বর্তমান জাতীয় দুর্যোগ-এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করে বেনাপোল সমিতি-ঢাকা ঘরবন্দী এসব খেটে খাওয়া দিনমজুর, অসহায় ও দু:স্থ মানুষের পাশে থাকার লক্ষ্যে ২০০ পরিবারের মাঝে মঙ্গলবার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে ঢাকাস্থ বেনাপোল সমিতি। এই খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি পরিবারের জন্য চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, আলু ও সাবান।
বেনাপোল পোর্ট থানার দূর্গাপুর, বোয়ালিয়া, বালুন্ডা, বারোপোতা, ছোট আঁচড়া, বাহাদূরপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, গাজীপুর, বেনাপোল, নামাজ গ্রাম, দৌলতপুর, পুটখালী, কাগজপুকুর, সাদিপুর, শাখারীপোতা, বড় আঁচড়া, মশেডাঙ্গা বারোপেতা গ্রামে ঘরবন্দী ২০০ টি পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
ঢাকাস্থ বেনাপোল সমিতির সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এতে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তা দিতে এ আয়োজন। সেই সাথে যাদের সক্ষমতা আছে তাদের সবাইকে মানবিকতা নিয়ে এগিয়ে এসে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, ঢাকাস্থ বেনাপোল সমিতি গঠিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে সমিতির যেমন উন্নতি হয়েছে তেমনি গরীব অসহায় মানুষের পাশে নিঃসংকোচে দাঁড়িয়েছেন সমিতির সদস্যরা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রচার নয় বরং দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা এই কাজটি করেছি। আমাদের দেখে যদি অন্যরাও এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে সেটিই হবে আমাদের বড় প্রাপ্তি ও আনন্দের বিষয়। সমিতির সকল নিবেদিতপ্রাণ সদস্যবৃন্দকে যাদের সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় এমন একটি উদ্যোগ আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এতে করে ঢাকাস্থ বেনাপোল সমিতি বঞ্চিত অসহায় মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সমিতির নির্বাহী উপদেষ্টা জামাল হোসেন ও শফি কদর, সহ-সভাপতি জামশেদ আলী, রেজাউল ইসলাম, মফিজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নাসির উদ্দিন শাপলা, এস এ বেলাল তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও হাসান শাহীন প্রমুখ।
কেআই/এসি
আরও পড়ুন