শেরপুরে মা-ছেলের নমুনা সংগ্রহ, ২ বাড়ি লকডাউন
প্রকাশিত : ১৯:৫৫, ২ এপ্রিল ২০২০
করোনা ভাইরাস
শেরপুরের নকলা রাজধানী ফেরত এক যুবকের ও তার মায়ের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশের সন্দেহে তাদের দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের দুটি বাড়ি লকডাউন করাসহ ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
আজ (২ এপ্রিল) উপজেলাধীন নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা এলাকায় গিয়ে এ নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান।
পাশাপাশি এ বাড়ির আশে পাশের বাড়ির লোকজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে বের হতে হলে তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সচেতনতার সাথে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা গছে, করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে থাকা ওই যুবক ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। গত ৮-১০ দিন আগে ঢাকা থেকে প্রথমে জামালপুর তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে ৪ দিন আগে নকলার নিজ বাড়ি ধনাকুশাতে আসেন এবং পরের দিন থেকে তার হাঁচি-কাশি, জ্বর, পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। সে সুস্থ হতে না হতেই এর দুইদিন পর বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেল থেকে তার মায়ের পাতলা পায়খানা ও জ্বর দেখা দেয়। এতে এলাকাবসীর মনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহ শুরু হয়।
এ খবর পেয়ে আজ (২ এপ্রিল) সকালে নকলা ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সুজা গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন। বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের উপসর্গের সাথে মিল পান। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমানকে জানান।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও নকলা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি এলাকাবাসীর সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলার পরামর্শ দেন এবং আক্রান্ত সন্দেহে যুবকের ও তার বাবার বাড়ি লকডাউন করেন এবং আশপাশের ২২টি বাড়ির লোকজনকে বাড়ির বাহিরে বের না হতে অনুরোধ জানান।
তবে বিশেষ প্রয়োজনে বের হতে হলে তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সচেতনতার সাথে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রকার গুজব না ছড়াতে এবং আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান ইউএও। তিনি আরও জানান, ওই পরিবারের সকল সদস্যের জন্য খাবার সময় মতো তাদের ঘরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. মো. মজিবুর রহমান জানান, ওই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের বেশ কিছু লক্ষণ পাওয়া গেছে। তাই সন্দেহভাজন ওই যুবক ও তার মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
যদি সন্দেহ করা দুই জনের কারোর মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায় তাহলে সেই বাড়ির সবার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান ইউএনও জাহিদুর রহমান।
এনএস/
আরও পড়ুন