ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দু`দিনে ভারত থেকে ফিরেছে ১১৬ যাত্রী : আইসোলেশনে ৫ জন

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ২০:১০, ৪ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ২০:১১, ৪ এপ্রিল ২০২০

Ekushey Television Ltd.

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের ঘোষিত ‘লকডাউনে’ কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ১১৬ জন বাংলাদেশি বিশেষ ব্যবস্থায় দু‘দিনে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা ভারতের পেট্রাপোলের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বাংলাদেশে আসেন। 

এদের মধ্যে শুক্রবার ৮১ জন ও শনিবার ৩৫ জন ফেরত আসেন। শুক্রবার ফেরত আসা ৮১ জনের শরীরে উচ্চতাপমাত্রা বা করোনাভাইরাসের অন্য কোন লক্ষণ পাওয়া না গেলেও শনিবার সকালে ফেরত আসা ৩৫ জনের মধ্যে ৫ জনের শরীরে উচ্চতাপমাত্রা পাওয়ায় তাদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইশোলেশনে রাখা হয়েছে।

ফেরত আসা যাত্রীরা হলেন, যশোরের স্বপ্না রানী পাল, মাগুরার বনমালী সিকদার, গোপালগঞ্জের সৌরভ মন্ডল, গোপালগঞ্জের বর্না বিশ্বাস ও খুলনার দিদারুল ইসলাম।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবার কলকাতা থেকে ফেরা ৮১ বাংলাদেশির ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থায় এদিন দেশে ফেরা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে অধিক কড়াকড়ি ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। তবে তাদের কারও দেহে উচ্চতাপমাত্রা বা করোনাভাইরাসের অন্য কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। এদিন ভারত থেকে আসা যাত্রীদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালে তাদের হাতে বিশেষ চিহ্নিতকরণ লাল সিল দেওয়া হয়েছে।

ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অপর চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে ভারত থেকে ৩৫ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী দেশে প্রবেশ করে। এসময় তাদের মধ্যে ৫ জন যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পাওয়ায় তাদেরকে বাসায় না পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দু‘দিনে আসা ১১৬ জনের মধ্যে ৫ জনের শরীরে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের পুর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর রাখা হয়েছে। স্ব স্ব জেলায় সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাদের প্রতি নজর রাখার জন্য। 

কলকাতায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দু’দেশের দূতাবাস ও সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর তাদের ‘ঘরবন্দি’ দশা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয় ভারত কর্তৃপক্ষ। সেই হিসেবে ১১৬ জন দু‘দিনে দেশে ফিরেছেন। মোদি সরকার ভারতে ‘জনতার কারফিউ’ ডাক দিলে গত ১৩ মার্চ থেকে ভারতে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয় বাংলাদেশিদের। এরপর ২৬ মার্চ থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশ থেকে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পারাপার। এতে ওপারে আটকে থাকা বাংলাদেশিরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। এখনো ভারতে আড়াই হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে আছেন। এদের মধ্যে এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী।
কেআই/ 
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি