টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ইয়াবাকারবারি নিহত
প্রকাশিত : ০৯:২০, ৬ এপ্রিল ২০২০
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোররাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের জিমংখালী চিংড়ি প্রজেক্ট বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে মাহমুদ উল্লাহ (২৬) ও হোয়াইক্যং ঝিমমং খালীর জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২৪)।
পুলিশের ভাষ্যমতে, রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মাইক্রোবাসের চালক মাহমুদ উল্লাহকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। এসময় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে রাতে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের জিমংখালী চিংড়ি প্রজেক্ট বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মজুদ রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় এক পর্যায়ে ভোররাত ৪টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশও অত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ১৫ হাজার ইয়াবা, দুটি এলজি, গুলি, খালি খোসা ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয় বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিকদের জানান,‘মাদক উদ্ধার অভিযানের সময় গোলাগুলিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তবে থানায় ফেরার সময় পৌরসভা এলাকার হোটেল হিলটপ সংলগ্ন মেইন রোডে ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে ইয়াবা বহনকরা মাইক্রোবাসটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, ‘পুলিশ গুলিবিদ্ধ দু’জনকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এআই/
আরও পড়ুন