ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

সরাইলে একইদিনে ৭ সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৫৮, ৬ এপ্রিল ২০২০

সংঘর্ষের চিত্র -ছবি একুশে টিভি

সংঘর্ষের চিত্র -ছবি একুশে টিভি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পৃথক সাত সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে দেড়শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিটঘর, টিঘর, বড়ইছড়া, ধরন্তি, নোয়াগাঁও ও সৈয়দটুলা গ্রামে পৃথক এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় দিঘীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রোববার বিকেলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়। 

পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে টিঘর গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৮) ও লোদা মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া (১৮) গ্রামের বড় দিঘিতে মাছ ধরতে যায়। সেখানে মাছ ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বিকেল ৪টার দিকে মুসা মিয়া ও লোদা মিয়ার পক্ষের কয়েক’শ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামের রাস্তায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল এবং বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। 

অপরদিকে, গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বড়ইছড়া গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬০ জন আহত হন। 

পুলিশ জানায়, রোববার রাতে পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের শাহীন নামে এক যুবক বড়ইছড়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে গান গাইতে গাইতে বাড়ি যাওয়ার সময় পরমানন্দপুর গ্রামের শহর আলী তাকে গান গাইতে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে শাহীন তার গ্রামে গিয়ে ঘটনাটি জানালে গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বড়ইছড়া গ্রামে হামলা করে। এ সময় বড়ইছড়া গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রামের অন্তত ৬০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাচকালে বড়ইছড়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। আহতদেরকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। 

এছাড়া রোববার পৃথক সময়ে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর, উপজেলার ধরন্তি, নোয়াগাঁও ও সৈয়দটুলা গ্রামে পৃথক সংঘর্ষে আরো ৭০ জন আহত হন। 

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ৭টি সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি