ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নওগাঁয় স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে এলাকাবাসী

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৪৮, ৮ এপ্রিল ২০২০

নওগাঁ শহরের রজাকপুর বউবাজার, দুর্গাপুর, সদর উপজেলার তিলকপুর এবং হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ভুতুলিয়া গ্রামে এক শিশুসহ ৪ জনের জ্বর,সর্দি ও গলা ব্যাথা ইত্যাদি লক্ষ্যন জনিত কারণে তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। আর এই কারণে ওই সব এলাকা  স্বেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে এদের মধ্যে রজাকপুর বউবাজার এলাকার সন্দেহজনক ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি শহরের রজাকপুর বউবাজার মহল্লায় নারায়নগঞ্জ থেকে এক ব্যাক্তি নিজ বাড়িতে আসেন। আসার পর থেকে তিনি  জ্বর সদি এবং গলা ব্যাথায় ভুঘছিলেন। এসব উপসর্গ দেখা দেয়ায়  করোনা সন্দেহে এলাকাবাসী শংকিত হয়ে পড়ে। গ্রামের লোকজনের আহবানে ইতিমধ্যে ওইসব এলাকার সদিৃ -জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এই অবস্থায় নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে  ওইসব এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাঁশ দিয়ে রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসময় আরও জনসচেতন মূলক সমাজের সচেতন ব্যক্তি বর্গরা এলাকার সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে সচেতন মূলক মাইকে প্রচারনা চালানো হচ্ছে।

ওইসব এলাকাতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এলাকার সচেতন যুবকরা তাদের নিজেদের উদ্যোগে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তিন ফিট পরপর দাড়িয়ে মহল্লাবাসীকে ঘরের ভিতর থেকে বাহিরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। সেই সাথে বাহিরের ব্যক্তিদেরর এসব মহল্লার ভিতরে আসতে বাধাঁ দিয়ে তারা বিভিন্ন ভাবে সচেতন মূলক কথা বলছেন এবং সকল ব্যক্তিদের সাবান ,ডিটল, সাভলুন, জীবানু নাশক পানি দিয়ে স্প্রে করার পরে সাধারণ মানুষদের ওইসব মহল্লাতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মো. আকতারুজ্জামন আলাল বলেন, গ্রামবাসী আহবানে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেপিক্যালে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট না আসা পর্যন্ত তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তেব তিনি বলেন শংকিত হওয়ার কিছু নেই । সকলকে সাবধান ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে তিনি আহবান জানান। তিনি বলেন ২ত ২৪ ঘন্টায জেলার ১১টি উপজেলা থেকে মোট ১৬ জনকে হোমকেয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৬ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে বর্তমানে ৩৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।  

এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে নিজ নিজ এলাকা সুরক্ষিত রাখার জন্য এই ধরণের উদ্যোগ সমাজের সকলের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। তিনি আরও বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে নওগাঁ পৌর এলাকার মানুষ তাদের নিজেদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এলাকার সচেতন মহলকে এগিযে আসার আহবান জানান।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি